অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের পার্সের হদিশ পেলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলের জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল অনামিকার। সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। মৃতার বাবা-মায়ের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। ওই ঘটনার পর অনামিকার জুতো, পার্স, চশমা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে রহস্য আরও দানা বেঁধেছিল। জুতোর পর এবার পার্স পাওয়া গেল।
কিন্তু কোথা থেকে পাওয়া গেল ওই পার্স? জানা গিয়েছে, গতকাল, বৃহস্পতিবার অনামিকার এক বান্ধবী আচমকা জেরার মুখে লালবাজারের গোয়েন্দাদের জানান, পার্স তাঁর কাছেই রয়েছে। ঘটনার সাতদিন আগে রাতে যাদবপুরেরই এক বান্ধবীর বাড়িতে ছিলেন অনামিকা। ওই বাড়িতে পার্সটি অনামিকা ফেলে এসেছিলেন। ওই বান্ধবী তাঁকে ওই পার্স অনামিকাকে ফেরত দেওয়ার জন্য দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কয়েক দিনের জন্য বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে অনামিকাকে ওই পার্স আর ফেরত দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই অনামিকার মৃত্যু হয়। তদন্তকারীরা ওই পার্স সংগ্রহ করে হেফাজতে নিয়েছেন। অনামিকার বাবা-মা মেয়ের পার্স শনাক্তও করেছেন। ভিতরে কিছু খুচরো টাকা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন ঝিলপাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হন অনামিকা মণ্ডল। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাণ বাঁচেননি। এই মৃত্যু ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্নের ভিড়। ঘটনার দিন ঝিলপাড়ের সিসিটিভিতে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় প্রায় ৪০ জনকে দেখা গিয়েছে। সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পুজোর আগেই। তদন্তকারীরা এই কথা জানিয়েছিলেন। পার্স, জুতো, চশমা পাওয়ার জন্য ওই ঝিলে ডুবুরিও নামানো হয়েছিল। জল থেকে জুতো উদ্ধার হয়েছিল। এবার পার্স পাওয়া গেল।
এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২০ জনকে জেরা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন পড়ুয়া, একজন অধ্যাপক ও একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যাপক ও ওই নিরাপত্তারক্ষীকে দুর্ঘটনার পরে সিসিটিভিতে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগামী কাল, শনিবারও আরও সাতজনকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.