অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীমৃত্যুতে প্রকাশ্যে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। জানা যাচ্ছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকার। তবে তিনি মদ্যপ ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয় প্রাথমিক রিপোর্টে। ফলে দুর্ঘটনা না খুন, উঠছে সেই প্রশ্ন।
ছাত্রী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের চর্চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল ওইদিন? আদৌ মদ্যপ ছিলেন মৃত অনামিকা মণ্ডল? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল সকলের মনে। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসার পরও খোলসা হল না তা। তবে জানা গিয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার। দেহে মেলেনি কোনও আঘাতের চিহ্নি। কিন্তু যে ঝিলে পড়েছিলেন তরুণী, সেটির গভীরতা ৪ থেকে ৫ ফুট। ফলে সেখানে পড়ে মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন থাকছেই। যদিও চিকিৎসকদের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গভীরতার উপর মৃত্যু নির্ভর করে না অনেকক্ষেত্রেই। একটা নির্দিষ্ট সময় নাক-মুখ জলের নিচে থাকলে মৃত্যু ঘটতেই পারে। মদ্যপ ছিলেন কি না তা ভিসেরা রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক কী জানিয়েছিলেন মৃত অনামিকা মণ্ডলের বন্ধুরা? তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাতের দিকে ঝিলপাড়ে বসেছিলেন ৫ বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন অনামিকা। সকলে মিলে মদ্যপান করেন। এরপরই জলে নামার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সকলেই। পুলিশি জেরায় বন্ধুদের দাবি, অনামিকা নাকি বলেন, ‘গরম লাগছে, আমি জলে নামব।’ বন্ধুরা জানত তিনি সাঁতার জানেন না। তাই স্বাভাবিকভাবেই বারণ করেন। কিন্তু ঝিলে জল বিশেষ না থাকায় এতবড় বিপদের আশঙ্কা করেনি কেউ। আচমকাই নাকি ঝিলে নামেন অনামিকা। মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুরা বোঝেন তিনি তলিয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে মৃতার বন্ধুরা দাবি করেন, তাঁরা অনামিকাকে বাঁচাতে জলে নামেন। তুলে আনেন বন্ধুকে। কিন্তু ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন অনামিকা। চিৎকার করে তাঁরা লোক ডাকে। খবর দেওয়া হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সঙ্গে সঙ্গে অনামিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.