রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দু’দিনের বঙ্গ সফরে এলেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপির পদাধিকারী ও জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কোনও সাংগঠনিক বৈঠক করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন যখন আর এক বছরও বাকি নেই, তখন তিনি এবার কেন কোর কমিটির সদস্য এবং রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে কোনও রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন না, তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। ওয়াকিবহল মহলের দাবি, এটা দিলীপ ঘোষকে এড়ানোর কৌশল।
জানা গিয়েছে, এবার শুধুমাত্র মিনিট দশেকের জন্য হোটেলে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহ। সেখানে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন বলে খবর। কিন্তু সংগঠনের হাল জানতে রাজ্য নেতাদের নিয়ে কোনও বৈঠক হল না। দলের একাংশ মনে করছে, বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতির নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। দলের মধ্যেই টালমাটাল অবস্থা। কোন্দল অব্যাহত। আবার বুথস্তর পর্যন্ত কমিটি হয়নি। তাছাড়া, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অস্থির অবস্থা চলছে পার্টিতে। কোর কমিটির বৈঠক করলে সেখানে নিয়ম অনুযায়ী দিলীপ ঘোষকেও ডাকতে হত। এসব একাধিক কারণেই কি এবার বর্ধিত আকারে সাংগঠনিক বৈঠক এড়িয়ে গেলেন শাহ? কানাঘুষো সর্বত্র।
সূত্রের খবর, শেষমেশ সব কিছু ঠিক থাকলে সুকান্ত মজুমদারকেই ছাব্বিশ পর্যন্ত দায়িত্বে রেখে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো কার্যকরী সভাপতি কাউকে করা হলেও করা হতে পারে। দলের একটি সূত্র বলছে, রাজ্যে বিজেপিকে সাংগঠনিকভাবে সবটা গুছিয়ে নিতে সুকান্ত-শুভেন্দু ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। জুনের মধ্যে সমস্ত সাংগঠনিক কাজ শেষ করে নিতে বলেছেন। তার পর পুজোর আগে, জুলাই কিংবা আগস্ট মাসে তিনি আসবেন। দফায় দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, “সভায় দিলীপ ঘোষকে না ডাকায় প্রমাণ হল বিজেপি গোষ্ঠীবাজিতে আছে। পুরনো বিজেপি কর্মীদের দলে জায়গা নেই। সম্মান নেই। তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষ কীভাবে এদের উপর আস্থা রাখবে?” এদিকে, জুন মাস ব্যাপী বঙ্গ বিজেপিকে একাধিক কর্মসূচিতে বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশল। রাজ্য নেতাদের একাধিক হোমটাস্ক দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.