Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

মানহানি মামলায় কুণালের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, আদালতে ‘রণে ভঙ্গ’ অভয়ার বাবার

মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ নভেম্বর।

Abhaya's father can't give any evidence against Kunal Ghosh's defamation case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 11, 2025 12:43 pm
  • Updated:September 11, 2025 1:43 pm   

গোবিন্দ রায়: কুণাল ঘোষের দায়ের করা মানহানি মামলায় ‘রণে ভঙ্গ’ অভয়ার বাবার। অভয়ার বাবার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে কোনও প্রমাণই দিতে পারলেন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। পরিবর্তে ঠিক কী কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে অভয়ার বাবা বলেছেন, তা জানতে পেনড্রাইভ চাইলেন আইনজীবী। এভাবে সময় নষ্ট করছেন অভয়ার বাবা, দাবি তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ১৫ নম্বর বিচারকের এজলাসে শুনানি ছিল। অভয়ার বাবা এদিন আদালতে আসেননি। তাঁর পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ছিলেন। অভয়ার বাবার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি আইনজীবী। ঠিক কী বলেছিলেন অভয়ার বাবা তা জানতে পেনড্রাইভ চান। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ নভেম্বর। মামলা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ দেওয়ার বদলে পিছিয়ে গেলেন। এ তো রণে ভঙ্গ দেওয়া। কথাটা বলেছেন উনি। সাংবাদিকদের ডেকে ডেকে বলেন, একে বলেন, ওকে বলেন, আর আদালতে এসে আইনজীবীকে বলতে হচ্ছে একটু পেনড্রাইভটা দেবেন, কী বলেছিলেন। আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী পিটিশনে সব জানিয়ে রেখেছেন। তারপরেও সময় নষ্টের জন্য এসব। এখানে এসে রণে ভঙ্গ দেওয়ার মতো সময় নষ্ট করা।”

তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “যেটা প্রমাণ করতে পারবেন না, সেটা বলেন কেন? আপনি রাস্তায় বেরিয়ে বলছেন, বাড়িতে সাংবাদিক ডেকে বলছেন বলুন, আপনার বলার উপর কোনও জিএসটি নেই। কোর্টে বলতে ভয় পাচ্ছেন কেন? সময় নিচ্ছেন কেন? কতদিন এভাবে পালাবেন? প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। প্রমাণ হয়ে গেল আপনার হাতে কোনও প্রমাণ নেই। মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। লোকের কথা হোক, যার কথায় হোক আপনি ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। আজ না হলে কাল সেটা ধরা পড়বে। আমি আইনের শেষ দেখে ছাড়ব।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে, আর জি কর হাসপাতালে সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুন হন তরুণী চিকিৎসক। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তভার নিলেও ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। শেষমেশ সঞ্জয়কেই দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। বর্তমানে যাবজ্জীবন সাজা পাচ্ছে সঞ্জয়। যদিও এই সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যায় সে। অভয়ার বাবা সিবিআই তদন্তে সন্তুষ্ট নন। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার টাকা পাঠাচ্ছে। সিবিআই ঘুষ খেয়ে তদন্ত ধামাচাপা দিচ্ছে। আর কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে মধ্যস্থতা করেছেন। এই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে অভয়ার বাবার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন কুণাল ঘোষ। আগামী ১৯ নভেম্বরের পরবর্তী শুনানিতে কী হয়, সেটাই এখন দেখার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ