Advertisement
Advertisement
SIR In Bengal

SIR আতঙ্ক! ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদের আশঙ্কা, হাই কোর্ট চত্বরে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা মহিলার

কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা দ্রুত ওই মহিলাকে এসএসকেএমে নিয়ে যান।

A Woman in Bengal tried to take her own life over the fear of SIR

ফাইল ছবি

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 12, 2025 12:58 pm
  • Updated:August 12, 2025 2:33 pm   

গোবিন্দ রায়: এসআইআর অর্থাৎ বিশেষ নিবিড় সংশোধন ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিলের আশঙ্কায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক মহিলার। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা হবে। তবে এই ঘটনায় এদিন সকালে হাইকোর্ট চত্বরে রীতিমত কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। ঘটনার পরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তাও।

যে কোনও সময় বাংলায় এসআইআরের (SIR In Bengal) নির্দেশিকা জারি করতে পারে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে আতঙ্কের ছবি বঙ্গ জুড়ে। কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যেই সমবায় ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যায় ওই তিন মহিলার। হঠাৎ করে নাম বাদ পড়াতে রীতিমত আতঙ্কিত পড়েন ওই তিন মহিলা। জানা যায়, এরপরেই এদিন সকালে শীর্ষ আদালতের ই গেটের সামনে জড়ো হন তিন মহিলা এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর মধ্যেই এক মহিলা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক মহিলা। শরীরে আগুন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলে। ফলে বড়সড় ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

কলকাতা হাই কোর্ট পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল। অন্যদিকে কীভাবে এই ঘটনা তা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, এসআইআর হলে ভোটার তালিকা থেকেও নাম বাদ পড়তে পারে, আর সেই আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্ট চত্বরে এই প্রতিবাদ।

এর মধ্যেই একজন নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও এর পিছনে আর কোনও কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমগাছিয়ার বাসিন্দা ওই দুই মহিলা। শুধু তাই নয়, আমগাছিয়া সৃষ্টি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সক্রিয় সদস্যও। প্রতিবাদী মহিলাদের অভিযোগ, গত ২০১৭ সালে ওই সমবায় তৈরি হয়। এরপর ২০২৫ সালে নির্বাচন হয় এই কো-অপারেটিভের। সেখানে নাম বাদ যায় ওই মহিলার নাম। এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলার প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ পুনরায় ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়।

কিন্তু অভিযোগ, ওই সমবায় সমিতি সেটা করেনি। এছাড়াও অভিযোগ, ওই কো-অপারেটিভ দীর্ঘদিন ধরে মোটা সুদের আশ্বাস দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছে কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আর তারই প্রতিবাদ জানাতে এদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ আপাতত ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এক মহিলার বক্তব্য, “ইলেকশন প্রসেস শুরু হওয়ার আগেই দেখলাম, আমাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ। আমরা নমিনেশন করতে পারব না। এসবের জন্য আমরা আর সাফার করতে পারছি না।”

তবে কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ এবং আত্মহত্যার চেষ্টা কেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ