Advertisement
Advertisement
SLST aspirants

SLST চাকরিপ্রার্থীদের ভূমিকায় প্রশ্ন, আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন অবমাননায় অভিযুক্ত ৭

'তাঁরা পরিস্থিতির শিকার', আদালতে জানালেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।

7 SLST aspirants apologized on contempt of court allegation
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 17, 2025 9:14 pm
  • Updated:July 17, 2025 9:22 pm  

গোবিন্দ রায়: এসএলএসটি কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত আদালত অবমাননা মামলায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন অবমাননায় অভিযুক্ত ৭ চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ‌্যায়, বিচারপতি সব‌্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বিশেষ বেঞ্চে অভিযুক্ত ৭ জনের আইনজীবী প্রতীক মজুমদার হলফনামায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, যা ঘটেছে দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিৎ ছিল না। ‘জাস্টিফাই’ করছি না। শুধুমাত্র হতাশাও বলব না। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার।

Advertisement

অভিযুক্তদের বক্তব্য, গত চার-পাঁচ বছর ধরে ঘটছে। তাঁরা আশা করছিলেন নিয়োগ হবে। রাজ্যও রাজি ছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ হয়, তার জন্য হতাশায় এটা হয়েছে। এটা করা উদ্দেশ্য ছিল না। এদিন তার প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত হবু শিক্ষকদের আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য্যের মন্তব্য, “আমরা ছবিতে দেখলাম আপনারা বিচারপতির ছবি মাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিচারপতির ছবি বিক্ষোভে রাখার অর্থ কি, বুঝলাম না। নিশ্চিত ভাবেই ওনাকে সম্মান জানাচ্ছিলেন না আপনারা।”

যদিও আদালত অবমাননায় অভিযুক্তদের সাফাই, ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পা মাড়াননি। ফের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা যায়, হতাশা হলেই এই আচরণ কি গ্রহণীয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে হতাশার জন্য এটা হতে পারে কি। “বিচারপতিকে কি শাসাচ্ছেন”, বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ নেই, শুধু ওই মামলার জন্য এই আচরণ কেন। সব মামলায় ক্ষমা চাইলেই সমাধান হয় না। পানের দোকানেও বিচারপতির সমালোচনা হয়। আমরা এসব ভাবি না। কিন্তু এটা কি ধরণের আচরণ!”

অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের তরফে সংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল পর্ব এদিন শেষ হয়েছে। আগামী ৬ অগাস্ট এই মামলার পরের শুনানিতে অভিযোগকারীদের তরফে আইনজীবীরা সওয়াল জবাব দেবেন। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের সংস্কৃতি এটা ছিল না। এটা শুরু হয়েছে একজন বিচারপতির সময় থেকে। তিনি সব ছেড়ে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন। আরও বলেন, “রিকশার পিছনে বিচারপতির ছবি! এটা কি আমাদের সংস্কৃতি ছিল।” তাঁর দাবি, “‘ডিগনিটির’ প্রশ্ন যখন উঠছে সবার কথাই বলা দরকার। অবমাননার যে অভিযোগ এসেছে, সেই ঘটনার দিন যেসব আইনজীবীরা ছিলেন, তাঁরা শুধু আইনজীবী নন। রাজনৈতিক দলের সমর্থকও।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement