কালীঘাটে চাকরিহারারা। ছবি: কৌশিক দত্ত
রমেন দাস: পরীক্ষা দিতেই হবে চাকরিহারাদের, তবে রিভিউ পিটিশনের শুনানির দিকে নজর থাকবে। জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরীক্ষা দিতে নারাজ চাকরিহারারা। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশি অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাজির হন চাকরিহারা ছয় মহিলা প্রতিনিধি। কিন্তু দেখা হয়নি। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে কালীঘাট থানায় নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের মোট ৬ জনের মহিলা প্রতিনিধি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি উদ্দেশে রওনা দেন। এই দলে ছিলেন সঙ্গীতা সাহা, রূপা কর্মকার, স্মৃতি রায়, নূর আমিনা গুলশন, শিল্পী চক্রবর্তী এবং সাহানি নাজনিন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁদের পুলিশি অনুমতি ছিল না। এ প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা বলেন,”আমাদের মানসিক যা অবস্থা তাতে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার সময় নেই। আমরা প্রথম থেকেই চাইছি সরকার পক্ষ আমাদের সঙ্গে বসুক। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া সেই আশা নিয়েই। আশা করি, তিনি আমাদের কষ্ট বুঝবেন, এবং সময় দেবেন। দেখা করবেন।” কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি, খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।কালীঘাটে পৌঁছনোর পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁদের কালীঘাট পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, তাঁদের আটক করা হয়েছে।
সুপ্রিম নির্দেশ মেনে ৩০ মে এসএসসির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। সমান্তরালভাবে নজর থাকবে রিভিউ পিটিশনের দিকেও। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ চাকরিহারাদের পরীক্ষা দিতেই হবে। পরীক্ষা না দিয়ে ‘যোগ্য’দের পুনর্বহাল করা যাবে কি না তা ঠিক করবে শীর্ষ আদালতই। তার আগে অবশ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে। শুরু হয়ে যাবে পরীক্ষাগ্রহণের প্রক্রিয়াও। এই নির্দেশেই চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে রেখেছেন, ভবিষ্যতে রিভিউ পিটিশনের রায় যদি ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের মান্যতা দেয় তাহলে সেটাই কার্যকর করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.