সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহ্যশালী সংস্কৃত কলেজ ও বর্তমানের সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলল প্রায় ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুদামেই মিলেছে একটি দেওয়াল সিন্দুকও। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পুরনো সিন্দুকটি খুলতে গিয়ে।
শুক্রবার বেলা ১২ টার আগে থেকে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টাতেও পুরনো সিন্দুকের চাবি তৈরি করে তা খোলা যায়নি। দেওয়াল সিন্দুকটি অবশ্য খোলা সম্ভব হয়েছে। যেখানে ৮৫টি পাস বই মিলেছে। সেগুলি বেশিরভাগই পোস্ট অফিসের বই। ১৯৩০ সালের। সেখান থেকে স্কলারশিপের টাকা দেওয়া হত বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন এই সিন্দুক পড়ে ছিল, সেটা রহস্যের। আশা করি নিশ্চয়ই কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।”
নবজাগরণের সঙ্গে জড়িয়ে সংস্কৃত কলেজের নাম। গুদামে সিন্দুক মেলার পরই তা আনা হয় উপাচার্যের ঘরে। সেই ঘরেই একসময় বসতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এই ঘরে বসেই কলেজ পরিচালনা করতেন তিনি। দশজন মিলে সেই প্রাচীন ও অত্যন্ত ভারী সিন্দুকটি নিয়ে আসেন। স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, লক এখানকার নয়। মনে করা হচ্ছে, বিদেশের, মূলত লন্ডনের লক সেটি। ‘৯৭’ বলে একটি চিহ্ন রয়েছে সেখানে। ছেনি-হাতুড়ি দিয়েই সেটি খোলার চেষ্টা চলছে।
উপাচার্য জানান, ঐতিহাসিকরা এর মূল্য ঠিক করতে পারবেন। মনে হচ্ছে, বিদেশ থেকে আনা হয় সিন্দুকটি এবং তা সংস্কৃত কলেজকে দেওয়া হয়। গুদামে অনেক আবর্জনা ছিল বলে হয়তো ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। কারও চোখে পড়েনি। দেওয়াল সিন্দুকটি কাঠের উপর গেঁথে বসানো হয়েছিল। ৮৫টি পাস বুক মিলেছে সেখান থেকে। নোংরার মধ্যে চাপা পড়েছিল পাস বইগুলি। তাই সেগুলি যে কারও নজরে পড়েনি, তা স্পষ্ট। দেওয়াল সিন্দুক থেকে পাওয়া সেই পাস বুক দেখে ব্যাংকে টাকা রাখা রয়েছে কি না খোঁজ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সিন্দুকটি থেকে কী বেরোয়, তা দেখার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.