Advertisement
Advertisement

মশার বংশ ধ্বংস করতে কেষ্টপুর খালে নামছে দাঁড় টানা নৌকো! স্মার্ট নিউটাউনে নয়া উদ্যোগ

বিশেষজ্ঞদের মত, মশাবাহিত রোগের অন্যতম উৎসস্থল খাল ও ক্যানালের নোংরা জল।

15 boats will be in action to kill mosquitos in New Town
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 9, 2025 3:57 pm
  • Updated:June 9, 2025 4:09 pm   

দিশা ইসলাম, বিধাননগর: মশা মারতে স্মার্ট নিউটাউন শহর প্রশাসনকে ভরসা জোগাচ্ছে দাঁড় টানা নৌকা। শহরের খাল ও ক্যানেলগুলিতে পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলায় ধারাবাহিক অভিযান চালাতে হাল টানা আরও ১২টি নৌকা নামিয়েছে শহর প্রশাসন ‘নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)।

Advertisement

আগে এই নৌকার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মশাবাহিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে শহরের খাল ও ক্যানেলগুলিতে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে চলতি মরশুমে যন্ত্রবিহীন ১৫টি নৌকায় কাজে লাগানো হয়েছে। জলাশয়গুলিতে নৌকার হাল টেনে স্বাস্থ্যকর্মীরা রীতিমতো উৎসস্থলে পৌঁছে গিয়ে নিখুঁতভাবে লার্ভা মোকাবিলার কাজ করছেন। নিউটাউন শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কেষ্টপুর-বাগজোলা দীর্ঘ খাল। পাশাপাশি জানা গেছে, শহরের ছোট-বড় মিলিয়ে কমবেশি ২২টির পেরিফেরি ক্যানেল রয়েছে। প্রায় সবগুলি ক্যানেলই মিশেছে কেষ্টপুরে খালের সঙ্গে।

এনকেডিএ-র বিশেষজ্ঞদের মত, মশাবাহিত রোগের অন্যতম উৎসস্থল খাল ও ক্যানালের নোংরা জল। এই ক্যানেলগুলি-সহ নিকাশি ড্রেন, বাড়ির চারপাশে পড়ে থাকা চায়ের ভাঁড়, ডাবের খোসা, ফুলের টব প্রভৃতি স্থির জমা জলে মশা বংশবিস্তারের অন্যতম কারণ। আর এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া মতো মারাত্মক জ্বরে প্রকোপে ভুগতে হয় নাগরিকদের। এনকেডিএ সূত্রে খবর, এই সব রোগ মোকাবিলা শহরের নিকাশি ব্যবস্থাগুলিতে লাগাতার মশা মারার। তেল, স্প্রে, ফগিং করা হয়। এছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধে এনকেডিএ-র কর্মীরা সারা বছর সাফাই, নিয়মিতভাবে ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার, জলাশয়ের গাপ্পি মাছ ছাড়া, ড্রোন উড়িয়ে মেট্রোর করিডোর, হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের ছাদ, চৌবাচ্চা ইত্যাদি উপায় অবলম্বনে নজরদারি চলে। সেই তুলনায় শহরের চারপাশে খালগুলিতে নজরদারির কিছুটা খামতি থেকে যাচ্ছিল। এই ঘাটতি পূরণে চলতি মরশুমে আরও ১২টি হাল টানা নৌকা এনেছে এনকেডিএ। আগে ছিল ৩টি।

সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “খালের উৎস স্থলে নেমে মশার বংশবিস্তার ধ্বংস করতে মোট ১৫টি নৌকা নামানো হয়েছে। সাফাই কর্মীরা নৌকায় চড়ে খাল ও ক্যানালগুলিতে জোরকদমে অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি সংস্থার তৈরি ৪৮টি বাহিনী আবাসিকদের দুয়ারের পৌঁছেও নজর রাখেন।” এ সতর্কতায় সাফল্যও এসেছে বলে দাবি এনকেডিএ-র। সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত নিউটাউনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ৩ জনে। যার মধ্যে একজনে বিদেশ ফেরত। অসুস্থরা দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ