Advertisement
Advertisement
অযোধ্যা

ভাইদের বলিদান সার্থক, খুশি অযোধ্যা আন্দোলনে শহিদ রাম-শরদের বোন

রাম মন্দিরের জন্য প্রথম রক্ত দেয় বাংলার দুই সন্তান।

Ayodhya verdict brings joy to martyr Kothari brothers' house
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 9, 2019 5:10 pm
  • Updated:August 4, 2020 1:46 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম শহিদ’ কলকাতার দুই ভাই রাম ও শরদ কোঠারি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শনিবার চরম উত্তেজনা ছিল বড়বাজারের কোঠারি বাড়িতে। রায়দান হতেই প্রায় কেঁদে ফেললেন পূর্ণিমা। রাম ও শরদের বোন তিনি। আজও সদ্য যুবক ভাইদের মুখ মুখ তাড়া করে তাঁকে।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পূর্ণিমা কোঠারি বলেন, ‘শীর্ষ আদালতের রায়ে আমরা খুব খুশি। আমার দাদাদের বলিদান আজ সার্থক হয়েছে। এদিকে, রায়দানের পর এদিন কোঠারি বাড়িতে যান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কোঠারি ভাইদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। পাশাপাশি বড়বাজারে রাম মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও মিষ্টি বিতরণ করে দুই শহিদকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

১৯৯০ সালের ২ নভেম্বর। ওই দিনই বাবরি মজসিদ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে স্থিত হনুমান গড়ি মন্দিরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার করসেবক। বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম রথ যাত্রার আবেদনে সাড়া দিয়ে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানাতে জড়ো হয়েছিলেন করসেবকরা। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার বড়বাজার এলাকার দুই ভাই- রাম ও শরদ কোঠারি। তারপরই সেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। জানা যায়, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশ ছিল যে কোনও মূল্যে যেন করসেবকদের আটকানো হয়। প্রয়োজনে গুলিও চালানোর নির্দেশ ছিল পুলিশকর্মীদের উপর।

এদিকে, বাবরি মসজিদের দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছিলেন করসেবকরা। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে ভজন শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, জায়গা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় নির্বিচারে করসেবকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশবাহিনী। ওই ঘটনায় ১৬ করসেবক-সহ মৃত্যু হয় কোঠারি ভাইদেরও। বাকিটা ইতিহাস। রাম মন্দিরের জন্য প্রথম রক্ত দেয় বাংলার দুই সন্তান। তাঁদের সম্মানে ওই গলির নাম রাখা হয় শহিদ গলি।

[আরও পড়ুন: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে ছিল মন্দিরই? সাতটি প্রমাণ তুলে ধরলেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement