সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ডা গৃহবধূর মৃত্যুতে তোলপাড় দেশ। সেই আবহে পণ না পেয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর।
মৃত বধূর নাম শিল্পা পঞ্চনগমথ। বয়স ২৭ বছর। তিনি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বিয়ে করেন আইটি কোম্পানিতেই কাজ করা প্রবীণ নামে এক ব্যক্তিকে। বিয়ের পর প্রবীণ চাকরি ছেড়ে ফুচকার ব্যবসা শুরু করেন। সন্তান জন্মের পর চাকরি ছেড়ে দেন শিল্পাও। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শিল্পাকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি পণের জন্য চাপ দিতে থাকেন। শিল্পার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছে তাঁর পরিবার। ২৬ আগস্ট রাতে শিল্পার পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবার গিয়ে দেখেন শিল্পার দেহ সাদা চাদরে মোড়ানো অবস্থায়, বিছানায় শোয়ানো।
শিল্পার মা সারদা দেবী তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ‘ একবার আমি মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফেরত পাঠিয়েছিলাম। প্রবীণ ও তার মা আরও টাকার জন্য মেয়েকে চাপ দিত। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকী মেয়ের শাশুড়ি বলেছিল ও প্রবীণের জন্য সঠিক সঙ্গী নয়। যদি শিল্পা স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে তারা প্রবীণের ফের বিয়ে দেবেন।”
শিল্পার আত্মীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, “যদি ও আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে পুলিশ আসার আগেই স্বামী ও তার পরিবার কেন দেহ সরাল? কেন ওরা প্রথমে দাবি করেছিল যে শিল্পার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে? তাঁরা জানিয়েছেন, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মৃত্যুর সময় সে দেড় মাসের গর্ভবতী ছিল।” পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮০ (২) ধারা ৩ ও ৪ ধারায় স্বামী প্রবীণ এবং তার মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.