সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে এনকাউন্টারে অপহরণকারীর খতম হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল তার স্ত্রীর। অপারেশন চলাকালীন উত্তেজিত জনতার হাতের নাগালে চলে আসে সে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে ইট এবং পাথরও ছোঁড়ে বেশ কয়েকজন। তাতেই সে গুরুতর জখম হয়। পুলিশের তৎপরতায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয় অপহরণকারীর স্ত্রীকে। তবে শুক্রবার ভোরে হাসপাতালেই মারা যায় ওই মহিলা।
খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুভাষ বাথম। আপাতত জামিনে মুক্ত ছিল সে। দিনকয়েক আগে মেয়ের জন্মদিনের পার্টির অজুহাতে গ্রামের ১৫টিরও বেশি শিশু এবং মহিলাদের নিমন্ত্রণ করে। সেই মতো বৃহস্পতিবার নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান তাঁরা। সেই সুযোগে ওই শিশু এবং মহিলাদের আটকে রাখে সুভাষ। সন্ধেবেলার দিকে গ্রামবাসীরা তাদের খোঁজ নিতে যান। সেই সময় সুভাষ গুলি চালাতে শুরু করে। তাতে এক গ্রামবাসী জখম হন। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ এবং পরে এসটিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করেও গুলি ও বোমা ছোঁড়া হয়। মোট তিনজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তবে গভীর রাতে ঘটনার মোড় ঘোরে। মাসছয়েকের একটি শিশুকে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেয় সুভাষ। উত্তেজিত জনতা দরজা ভেঙে সুভাষের ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘনঘন গুলি চালাতে থাকে অপহরণকারী সুভাষ। পালটা জবাব দিতে থাকে পুলিশ।
এই সুযোগে স্থানীয়রা সুভাষের স্ত্রীকে পাকড়াও করে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে ওই মহিলা। সেই সময় তাকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়া হয়। তাতেই গুরুতর জখম হয় ওই মহিলা। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুভাষের স্ত্রীর। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
IG Kanpur Range Mohit Agarwal: The woman has succumbed to injuries, we are waiting for post mortem report, further details on cause of death will only come out after the report.
— ANI UP (@ANINewsUP)
সূত্রের খবর, এই ঘটনার আগেই সুভাষ জেলাশাসককে একটি চিঠি লিখেছিল। বাড়িতে একটি শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিল সে। তবে সেই দাবিপূরণ না হওয়ায় এমন কাণ্ড বলেই দাবি অনেকের। সুভাষের সঙ্গে তার স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। অভিযুক্তের স্ত্রীর মৃত্যুর জেরে ঘটনার কারণ জানা কার্যত অসম্ভব হয়ে গেল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.