ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে বাংলায় চালু করতে হবে একশো দিনের কাজ। ১৮ জুন কেন্দ্রকে যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, তা নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক? তথ্য জানার আইনে করা এই প্রশ্নের উত্তরই দিল না শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রক। উলটে বলা হল, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, আইন অনুযায়ী তা কোনও ‘তথ্য’-ই নয়।
একশো দিনের কাজে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে গত কয়েক বছর ধরেই সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথে হেঁটে দিল্লি এসে কৃষিমন্ত্রকে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশের কাছে আটক হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দলকে। কার্যত রাজ্যের বক্তব্যকে স্বীকৃতি দিয়েই তিন মাস আগে কেন্দ্রকে ১ আগস্টের মধ্যে রাজ্যে একশো দিনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার এক মাসেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরও শুরু হয়নি সেই কাজ।
এই আবহেই তথ্য জানার অধিকার আইনকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের কাছে তিনটি প্রশ্ন করেন রানাঘাটের যাদবপল্লি জিএসএফপি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক সিনথল ঘোষ। আদালতের রায় নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাব জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে তিনি জানতে চান, মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের মোট বকেয়া কত টাকা। গত দুই অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে রাজ্যকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রথম প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও পরের দুই প্রশ্নের জবাবে শিবরাজের মন্ত্রক বলে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা না মানায় ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে রাজ্যকে টাকা পাঠানো বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ৮ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া অংশের পরিমাণ তিন হাজার ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের শিক্ষক সিনথল জানান, “অদ্ভুত বিষয় দেখছি আর অবাক হচ্ছি। তথ্য জানার অধিকার আইনকেও কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারে সরকার?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.