সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আতঙ্কও। তবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য বারবার দায় চাপাচ্ছেন কেন্দ্রের উপরেই। তাঁর মতে, ‘এই ভাইরাস দমনে আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল। এর আগেও আমরা প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু কেন্দ্র অযথা ঢিলেমি করায় তা দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে।’
মঙ্গলবার টুইট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি ব্যথিত। এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। আমাদের হাতে প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় ছিল। আমাদের এই বিপর্যয়ের প্রভাব আরও আগেই অনুধাবন করা উচিত ছিল। আরও দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছিল।”
I am feeling sad, because this was completely avoidable. We had time to prepare. We should have taken this threat much more seriously and have been much better prepared.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi)
হরিয়ানার চিকিৎসক কামনা কক্কর খানিকটা কটাক্ষের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে সোমবার টুইট করেন, ‘ওরা যখন আসবে, গ্লাভস আর এন-৯৫ (N-95) মাস্ক পাঠিয়ে দেবেন। আর বলবেন হাততালি আর থালা-বাসন বাজাতে। ইতি একজন হতাশ সরকারি চিকিৎসক।’ সেই টুইটের জবাবেই রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকা মিলে ৫৬০টি জেলায় লকডাউন চলছে। এখনও পর্যন্ত ৫০০ জনের শরীরে সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। মৃতের সংখ্যা হয়েছে ১২।
সূত্রের খবর, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারকে সজাগ হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেই পরামর্শ সেই সময় নাকি কানে তোলা হয়নি। অন্যদিকে মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আরজি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর আর্জি, ‘এই বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকরা। তাঁদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক কেন্দ্র।’ অপরদিকে, করোনার মোকাবিলায় কী করা উচিত সেই বিষয়ে দেশের নাগরিকদের আরও একবার সতর্ক করতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.