সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় ধর্মান্তরণ চক্র চালানোর অভিযোগ! এবার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ‘ছাঙ্গুর বাবা’র ভাগ্নে সাবরোজের বাংলো। পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশের রেহরা মাফি গ্রামে একটি ছোটখাটো বাংলো গড়ে তুলেছিলেন সাবরোজ। আর গোপনে সেখানে চলত ধর্মান্তরণ চক্র। সূত্র মারফত খবর পেয়েই শনিবার পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। তারপরই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেই বাংলো। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “নির্মাণটি অবৈধ ছিল। পাশাপাশি, সেখানে ধর্মান্তরণ চক্র চালানো হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই প্রশাসনের নির্দেশেই সেখানে বুলডোজার চালানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশজুড়ে বিরাট ধর্মান্তকরণের র্যাকেট তৈরি করেছিল এই ছাঙ্গুর বাবা। এরই সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও মজবুত গাঁটছড়া তৈরির চেষ্টা করেছিল ছাঙ্গুর। জায়গায় জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল সেল। যেখানে নিযুক্ত করা হয় মুসলিম যুবকদের। ওই যুবকরা রীতিমতো মাসে মাসে তার কাছ থেকে টাকা পেত। তাদের কাজ ছিল একটাই, হিন্দু বিধবা কিংবা দরিদ্র মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ধর্মান্তরিত করা। ছাঙ্গুরের অর্থের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি। তদন্তকারীদের দাবি, এই দেশগুলি থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অর্থসাহায্য পেয়েছিল সে। আর এই টাকার মধ্যেও ৩০০ কোটি টাকা এসেছিল নেপালের পথ দিয়ে। এ ভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তার ধর্মান্তরকরণের ব্যবসা।
বিদেশ থেকে আসা ওই তহবিল সামলাত তার ডানহাত নীতি ওরফে নাসরিন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। এই বিদেশি অর্থের উৎস এবং এই ধর্মান্তরকরণ গ্যাংয়ের আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতে ছাঙ্গুর বাবা এবং নাসরিনকে জেরা করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং এনআইএ। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামালউদ্দিন নবীনকেও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই আর্থিক লেনদেন করত ছাঙ্গুর। তার নিজেরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। শারজা, দুবাই-সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে ছাঙ্গুরের। সেগুলিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.