সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর হত্যাকাণ্ডে ‘ন্যায়বিচার’ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন। এরপর দল থেকে বহিষ্কৃত হন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক পূজা পাল। এবার তাঁর উপর হামলা হতে পারে আশঙ্কা করে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে চিঠি দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, চিঠিতে পূজা উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রাণহানি হলে দায়ী থাকবেন অখিলেশ যাদব এবং তাঁর দল। স্বভাবতই দলের বহিষ্কৃত বিধায়কের এই চিঠিতে অস্বস্তিতে পড়লেন অখিলেশ। তিনি পালটা কী পদক্ষেপ নেন সেটাই এখন দেখার।
যোগীর প্রশংসা করে বহিষ্কৃত হলেও চিঠিতে নিজের অবস্থান থেকে সরেননি পূজা। তিনি লিখেছেন, “আমি ন্যায়বিচার পেয়ে গিয়েছি। এর পরে যদি আমার মৃত্যুও হয়, গর্ববোধ করব।” এইসঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাঁর স্বামী রাজু পালকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তিনিও সে ভাবেই হামলার শিকার হতে পারেন। কেন এই আশঙ্কা? বহিষ্কৃত নেত্রীর দাবি, দলের নেতা অখিলেশ তাঁকে অপমান করেছেন, এর ফলেই দলের অপরাধী সমর্থকদের মনোবল বাড়ছে। রাজ্য সরকারের কাছে পূজা আবেদন করেছেন, বাস্তবে যদি তাঁর সঙ্গে ভালোমন্দ কিছু ঘটে যায়, তবে “সেই ঘটনার জন্য যেন দোষী হিসাবে সমাজবাদী পার্টি এবং অখিলেশ যাদবকে চিহ্নিত করা হয়।” উল্লেখ্য, শুধু যোগীর প্রশংসা নয়, বহিষ্কারের পরে যোগীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন পূজা। এবারে অখিলেশ যাদবকে অস্বস্তিতে ফেলে চিঠি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের প্রশ্ন, শীঘ্রই কি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন বহিষ্কৃত নেত্রী?
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ২৫ জানুয়ারি পূজা পালের স্বামী রাজু পালকে গুলি করে খুনে করে গ্যাংস্টার বিধায়ক আতিক আহমেদ। পূজা ও রাজুর বিয়ের একদিন পরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মনে করা হয়, আতিকের ভাই আশরফের সঙ্গে রাজুর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই এই খুন। হত্যাকাণ্ডের একমাত্র সাক্ষী উমেশ পালও খুন হন। এক্ষেত্রেও আতিক-আশরফের নাম জড়ায়। একদিন বাদেই গ্রেপ্তার করা হয় আতিক-আশরফকে। পুলিশি হেফাজতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি গুলি করে খুন করে আতিক এবং আশরফকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.