হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: গত আট বছরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নের ঢেউ এসেছে। যে রাজ্য একসময় অপরাধ ও অরাজকতার জন্য পরিচিত, আজ তা আইনের শাসনে এক নতুন মডেল রাজ্য হিসাবে উঠে এসেছে। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রূপায়ণের মাধ্যমে সম্প্রতি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। মানুষের মনে ভরসা ফিরেছে। এমনকী রাজ্যের উন্নয়নে শিল্প ও বানিজ্যে বিনিয়োগের আগ্রহও দেখা গিয়েছে।
২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশের চালচিত্র ছিল অন্যরকম। সাম্প্রদায়িক হিংসা, দাঙ্গা, তোলাবাজি, অপহরণ ও মহিলাদের উপর অত্যাচার ছিল তখনকার নিত্যদিনের ঘটনা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও পরিবারগুলি আতঙ্কে দিন কাটাত। এই সময় অনেকেই প্রাণের ভয়ে অন্য রাজ্যে চলে যেতে বাধ্য পর্যন্ত হয়েছে। ২০১৩ সালের মুজাফফরনগর দাঙ্গা তৎকালীন প্রশাসনের উপর রাজ্যবাসীর বিশ্বাস টলিয়ে দিয়েছিল।
২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। অপরাধীদের খুঁজে খুঁজে আইনের আওতায় আনা হয়। বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
গত আট বছরে ২৪০ জনেরও বেশি কুখ্যাত অপরাধী পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে।
যোগী সরকারের নির্দেশে মাফিয়াদের কোটি কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যোগী রাজ্যে ‘অপারেশন কনভিকশন’-এর আওতায় প্রায় ১ লক্ষ আসামি সাজা প্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রায় ১০০০০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বেআইনি মাদক ব্যবসা রুখতে সরকার বিভিন্ন সময় বড় আকারের অভিযান চালিয়েছে। এছাড়াও আলাদা আইন প্রয়োগ করে গরিব ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে জোর করে ধর্মান্তর করানোর চেষ্টাও বন্ধ হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা ও পরিস্থিতির উন্নতির ফলে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিতেও দারুণ প্রভাব পড়েছে। রাজ্যে এখন বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ডিভেন্স করিডর, ডেটা সেন্টার, ফিল্ম সিটি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের মতো বড় বড় প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ এসেছে। রাজ্যে বিপুল পরিমাণে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
নতুন উত্তরপ্রদেশ এখন শুধু দেশের একটি নিরাপদ রাজ্যই নয়, এটি উন্নয়নের এক নতুন মডেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.