Advertisement
Advertisement

গাড়ি নেই, হাড় ভেঙে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মৃতদেহ

ফের সেই অভাগা ওড়িশা!

Unable to carry body, Odisha workers break woman’s bones, stuff it in bag
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 26, 2016 4:49 pm
  • Updated:August 26, 2016 4:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘটা করে ‘মহাপ্রয়াণ’ প্রকল্প চালু করেছিল ওড়িশা সরকার৷ যাতে রাজ্যের ৩৭টি হাসপাতালকে শববাহী যান দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এর পরেও দিন আনি দিন খাওয়া মানুষগুলির বিশেষ কোনও উপকার হল না৷ গতকালই ওড়িশার দানা মাঝি তাঁর স্ত্রী’র মৃতদেহে কাঁধে নিয়েই ১০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়েছিলেন৷ স্ত্রী’র সৎকারের জন্য কোনও শববাহী গাড়ি দিতে পারেনি সরকারি হাসপাতাল৷ তাই স্ত্রী’র অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করতে মৃত স্ত্রী’কে কাঁধে নিয়েই রওনা দেন দানা মাঝি৷

Advertisement

এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ আবারও প্রায় একইরকম মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ৷ এবার হাসপাতালে শববাহী গাড়ি না মেলায়, বৃদ্ধার হাড় ভেঙে, মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করে বাঁশে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেল ওড়িশায়৷ ৭৬ বছরের সালামনি বারিক বুধবার ট্রেন দূর্ঘটনায় মারা যান৷ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এরপর সেখান থেকে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে যথারীতি পাওয়া যায়নি শববাহী কোনও ভ্যান বা গাড়ি৷ আর তাই দুই কর্মীকে বৃদ্ধার দেহ শশ্মানঘাটে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হলে, তাঁরা বৃদ্ধার ভেঙে যাওয়া দেহ মুড়িয়ে একটি সাদা চাদরে বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে৷ প্রশ্ন করা হলে জানানো হয়, এছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনও উপায় নেই৷

বৃদ্ধার ছেলের চোখের সামনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা৷ ছেলে রবীন্দ্র বারিক জানিয়েছেন, মা’র দেহ চোখের সামনে অমন পণ্যের মতো করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হল৷ বহুবার আর্জি জানানোর পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দিল না৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আবারও বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে ওড়িশায়৷ মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে এবং এমন ঘটনা ঘটার কারণ জানতে চেয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস