Advertisement
Advertisement
Giriraj Singh

দিল্লিতে নেই জানানোর পরও লোকসভায় গিরিরাজ সিং! ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে চিঠি ক্ষুব্ধ তৃণমূলের

তাঁদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদদের।

TMC wrote letter to Union minister Giriraj Singh for false claim | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 7, 2023 7:12 pm
  • Updated:April 7, 2023 7:22 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃণমূল নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করছেন গিরিরাজ সিং। ক্ষোভ উগরে দিয়ে এমন অভিযোগ তুলেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদরা।

Advertisement

১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রকের কাছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রাজ্যের। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে রাজ্যে ১০০ দিনের কাছে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে এই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। গত বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের (TMC) লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা কৃষি ভবন অভিযান করেন। কিন্তু গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। জানানো হয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের পর দিল্লিতে ফিরবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বিহারে গিয়েছেন জেনেই ফিরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। তিনি ফিরলে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের দেখা যায় সংসদ ভবনে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। গিরিরাজ সিংকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: প্রথম সারির ম্যাচ শূন্য, ঠিকমতো চেনেন না ক্যাপ্টেন রানাও! নাইটদের ‘নতুন তারা’ সুয়শ শর্মা কে?

বৃহস্পতিবারও গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর বৃহস্পতিবার তাঁকে লোকসভায় দেখা যেতে শুক্রবার ফের চিঠি দেওয়া হল। যেখানে লেখা হয়, “আমাদের বলা হয়েছিল এক সপ্তাহ পর ফিরবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। কিন্তু আমাদের সাংসদরা মন্ত্রীকে লোকসভায় দেখেছেন। জানা গিয়েছে, তিনি দিল্লি ছাড়েননি।” তাঁদের প্রশ্ন এভাবে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভুল তথ্য কীভাবে দেওয়া হল? বিষয়টিকে অনৈতিক বলেও দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গিরিরাজ দিল্লিতে নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবারই দেখা যায় তিনি সাতসকালে সংসদে। মন্ত্রীর দেখা পেতেই তাঁকে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করেন তৃণমূল সাংসদ। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা বলে দেন, আপনি নাকি বিহারে গিয়েছিলেন। জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিহার থেকে দিল্লি আসতে আর কতক্ষণ সময় লাগে? মন্ত্রীর জবাবে অসন্তুষ্ট তৃণমূল সাংসদ পালটা প্রশ্ন করেন, আপনি আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না কেন? যা শুনে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা বকেয়া টাকার যে হিসাব আমাদের দিয়েছেন তাতে অসঙ্গতি রয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, হিসাবে যদি অসঙ্গতি হয়েই থাকে, তাহলে সেটা আলোচনার টেবিলে বসে মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই নিয়ে এদিন আবারও চিঠি দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে নির্দেশ! রাজভবনের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement