সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোরস্থান, পুরনো বাড়ি কিংবা দুর্গ বা শূণ্য রাস্তা, এমন রাস্তা যে পথে যাতায়াত করেন না কেউ – এমন স্থানে তেনাদের দেখা পাওয়া যায় মাঝেমধ্যেই৷ নিজেদের উপস্থিতি অবলীলায় টের পাইয়ে দিয়ে কোথায় যেন মিলিয়ে যান তেনারা৷ সেই খোঁজ রাখা আমার আপনার পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব৷ কিন্তু যখন লোকালয়েই তাঁদের দেখা মেলে? যখন শোয়ার ঘরের দরজার পাশেই প্রতি রাতে দাঁড়িয়ে থাকেন সেই অচেনা ছায়ামূর্তি? তখন তাঁর উপস্থিতির কারণ কী তা আর ভাবার পরিস্থিতি থাকে না৷ প্রাণে রক্ষা পাওয়াই তখন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে৷
কিন্তু সখের বাড়ি-ঘর, প্রতিবেশী, দৈনিক জীবনযাপন ছেড়ে পালাবেন কোথায়? কে আশ্রয় দেবেন? অগত্যা তেনাদের উপস্থিতিতেই কাটে দিন৷ প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় তাড়া করে বেড়ায় জীবনকে৷
এমনভাবেই বেঁচে রয়েছেন থানের বৃন্দাবন সোসাইটির বাসিন্দারা৷ মহারাষ্ট্রের থানে জেলার এই বৃন্দাবন সোসাইটিতে আম জনতার পাশাপাশি বাস করেন অশরীরীরা৷ পুজো, যজ্ঞ, ওঝার ঝাড়ফুক কিংবা পীরের আগমন কোনওকিছুই আবাসন থেকে অশরীরীর উপদ্রব দূর করতে পারেনি৷ সূর্য ডুবলেই শুরু হয় তাঁদের উৎপাত৷ কখনও আবাসনের গেটরক্ষীদের কষিয়ে চড় মারছে, কখনও আবার রাত করে বাড়ি ফেরার সময় আবাসনের কোনও যুবতীকে ভয় দেখাচ্ছে৷
এমনভাবেই কাটছে বৃন্দাবন সোসাইটি’র বাসিন্দাদের জীবন৷
শোনা যায় ওই আবাসনের ৬৬বি ফ্ল্যাটটিতে এক মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি থাকতেন৷ ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি৷ আর তাঁর এই অপমৃত্যুর পর থেকেই ভৌতিক কাণ্ড শুরু হয় এই আবাসনে৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর আর কেউ থাকেন না ওই ফ্ল্যাটটিতে৷ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এখনও মৃত ব্যক্তির আত্মা রয়ে গিয়েছে ওই ফ্ল্যাটে৷ সন্ধ্যা নামলেই আবাসনে আতঙ্ক তৈরি করে তার উপস্থিতি৷
তবু এতকিছুর পরেও আবাসনের বাসিন্দারা আবাসন ছেড়ে চলে যাননি৷ জীবনের উপর বিশ্বাস রেখে মৃত্যুর ওপারে থাকা ব্যক্তিটির চ্যালেঞ্জ রোজ হাসিমুখে অ্যাকসেপ্ট করছেন! সত্যি সাহস আছে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.