Advertisement
Advertisement
Sadhguru

‘মগজধোলাই’ মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি সদগুরুর

ঈশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।

Supreme Court Pauses High Court Order Against Sadhguru Jaggi Vasudev
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 3, 2024 1:58 pm
  • Updated:October 3, 2024 1:58 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর দুই মেয়ের ‘মগজধোলাই’ করেছেন সদগুরু। যার পর মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে সদগুরুর তৈরি সংস্থা ঈশা ফাউন্ডেশন আশ্রমে সন্ন্যাসের জীবন বেছে নিয়েছেন। এই অভিযোগে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা করেন তামিলনাড়ুর অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। যার পর সদগুরু এবং তাঁর ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সদগুরু। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে হাই কোর্টের পুলিশি তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। তবে পুলিশের কাছে মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছে বিচাপতিদের বেঞ্চ।

Advertisement

মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশের বলে মঙ্গলবার কয়েকশো পুলিশ কোয়েম্বাটুরের ঈশা ফাউন্ডেশনে ঢোকে। এর পর বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ওই মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল। শুনানিতে ঈশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধ শিশু নিগ্রহের অভিযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। যাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়েছিল। যদিও ঈশা ফাইন্ডেশনের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেন, নিগ্রহের ঘটনা আশ্রমের ভিতরে ঘটেনি। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, প্রথমত কোনও ধর্মীয় সংগঠনে এভাবে একদল পুলিশ ঢোকানো যায় না। বরং একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে আশ্রম পরিদর্শনে পাঠানো হবে। তারাই দুই তরুণীর সঙ্গেও কথা বলবেন।

অভিযোগকারী অধ্যাপকের দুই মেয়ের একজন অনলাইনে শুনানিতে যোগ দেন। তিনি জানান, নিজেদের ইচ্ছেতেই তাঁরা দীর্ঘ দশ বছর ধরে সদগুরুর আশ্রমে থাকছেন। উলটো গত আট বছরে বাবা তাঁদের হেনস্তা করছেন বলে অভিযোগ করেন। আদালতের বক্তব্য, দুই তরুণী ২৪ এবং ২৭ বছরে বয়সে আশ্রমবাসী হয়েছিলেন। নিজেদের ইচ্ছায় এই কাজ করেন। এই অবস্থায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস কামরাজ মাদ্রাজ হাই কোর্টে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে তাঁর ৪২ ও ৩৯ বছর বয়সি দুই মেয়েকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়। সোমবার দুই মেয়েই সশরীরে এসে বলেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ঈশা ফাউন্ডেশনে থাকছেন। কেউ তাঁদের জোর করেনি। এক দশক ধরে চলতে থাকা এই মামলায় এর আগেও তাঁরা অনুরূপ বয়ানই দিয়েছেন। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ