ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৯ মাসে কাশ্মীরে একজন স্থানীয় জঙ্গিরও হদিশ মেলেনি। বিহারে দাঁড়িয়ে ৩৭০ ধারার সুফল বোঝাতে গিয়ে বড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, একটা সময় কাশ্মীরের স্থানীয় শিশুরা অস্ত্র তুলে নিত। আজ সেই কাশ্মীরবাসী নিজেদের ভারতের অঙ্গ হিসাবে দেখা শুরু করেছে। এটাই মোদি সরকারের সাফল্য। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস, একেবারে সঠিক সময়ে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে।
বিহারের ভোটপ্রচারে গিয়ে শাহ দাবি করলেন, “কাশ্মীরে ১৯৯০-এর দশক থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। আগে পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি পাঠানোর প্রয়োজন পড়ত না। আমাদের শিশুদের হাতেই ওরা অস্ত্র তুলে দিত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখন উপত্যকার মানুষে নিজেদের ভারতের অংশ, এবং ভারতকে নিজেদের দেশ বলে মনে করেন।” শাহের দাবি, কাশ্মীরে গত ৯ মাসে একজনও স্থানীয় জঙ্গি ধরা পড়েনি। যা কিনা বিরাট গুণগত পরিবর্তন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, জম্মু ও কাশ্মীরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, পঞ্চায়েত, পুরনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। একেবারে সঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেটার কোনও টাইমলাইন শাহ দেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন লাদাখের সমস্যাও দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, লাদাখবাসীর সমস্যার কথা শুনে, দ্রুত সেটার সমাধান করা হবে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপত্যকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শাহের দাবি, সঠিক সময়েই পদক্ষেপ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.