Advertisement
Advertisement
শোভন-বৈশাখী

শোভন-বৈশাখীকে দলে ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা মুকুলের, দিল্লির বাড়িতে বৈঠকে ত্রিমূর্তি

ভিডিওতে দেখুন কী আলোচনা তাঁদের মধ্যে।

Sovan Chatterjee and Baishakhi Banerjee met Mukul Roy at New Delhi
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 3, 2019 8:31 am
  • Updated:September 3, 2019 8:31 am  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি : যাকে বলে শেষ চেষ্টা। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সেটাই করলেন মুকুল রায়। অসম্মানিত বোধ করায় দল ছাড়তে চেয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মধুচন্দ্রিমাতেই বিচ্ছেদের সুর ওঠায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এমনকী সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার আবেদন নিবেদনে কাজ না হওয়ায় শেষে মাঠে নামলেন মুকুল রায়। শোভন-বৈশাখীর মানভঞ্জনে গভীর রাত পর্যন্ত নিজের নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা। মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ এই ঠিকানাতেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন মুকুল রায়। যদিও মুকুল রায় বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, শোভন ও বৈশাখী দলেই আছেন। দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। দুজনের সঙ্গে অনেক পুরনো সম্পর্ক, তাই একটু ঘরোয়া আড্ডা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: সব্যসাচীর গণেশ পুজোর উদ্বোধনে দিলীপ-মুকুল, বাড়ল দলবদলের জল্পনা]

যোগদানের দু সপ্তাহের মধ্যেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে শোভন ও বৈশাখীর। তার অন্যতম কারণ, দেবশ্রী রায়। দুজনের শত আপত্তি সত্ত্বেও রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান প্রায় পাকা। এমতাবস্থায় দলে অসম্মানিত বোধ করছেন দুজনে। দেবশ্রীকে নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা আগেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সূত্রের খবর, হাই কমান্ড দেবশ্রীর যোগদানে সবুজ সংকেত দেওয়ায় দল ছাড়ার মনস্থির করে ফেলেছেন তাঁরা। ব্যস! তাতেই অস্বস্তিতে পড়ে বিচ্ছেদ আটকাতে মাঠে নামেন কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাঁর ডেপুটি অরবিন্দ মেনন। কিন্তু প্রত্যেকের কাছেই একই অনুরোধ রেখেছেন শোভন ও বৈশাখী, বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি চান তাঁরা। এদিন গভীর রাতে বৈঠকের শেষে বৈশাখী জানান, অভিমান বা আঘাত লাগার ব্যাপারটা সত্যি। মুকুল রায় বড় দাদার মতো। তাই তাঁর সঙ্গে একটু ঘরোয়া আড্ডা দিতে এসেছিলেন। দল ছাড়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি। একই বক্তব্য শোভনেরও। 

Mukul

[আরও পড়ুন: বউবাজারে গিয়ে মেট্রোর বিরুদ্ধে সুর নরম, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গেও কথা মমতার]

এরই মধ্যে গত শুক্রবার দিল্লি উড়ে যান দুজনে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা সংক্রান্ত কারণে রাজধানীতে এসেছেন বলে জানালেও, শোভন চট্টোপাধ্যায় দেখা করেন জেপি নাড্ডার সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নাড্ডাকেও নিজেদের আপত্তির কথা বলেন তাঁরা। এদিকে, সোমবারই দুজনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠক করবেন বলে মুকুল রায় তড়িঘড়ি সল্টলেকে রাজনৈতিক শিষ্য বিধাননগরের সদ্য প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের গণেশ পুজোর উদ্বোধন সেরে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দেন। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দুজনের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন মুকুল এবং দল না ছাড়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু মুকুলের আবেদনে শোভন ও বৈশাখী আদৌ সাড়া দিয়ে মন পালটান কিনা সেটাই দেখার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement