সুব্রত বিশ্বাস: রেল মন্ত্রকের নেওয়া একাধিক সিদ্ধান্ত ছিল জনস্বার্থ বিরোধী! মোদি সরকারের সেই সব সিদ্ধান্ত এবার ভোটদান পর্বে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেছেন রেল বোর্ডের একাধিক কর্তা। করোনার মতো বিপদ সংকুল সময়ে রেল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পরবর্তী সময়ে সব আশঙ্কা মুক্ত হওয়ার পরও অসংখ্য ট্রেন আর চালু হয়নি। সেগুলো বরাবারের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফলে চরম সঙ্কটে সাধারণ মানুষ। সবই প্রভাব ফেলেছে ইভিএমে।
দেশের বিভিন্ন জোনে প্রায় দশ হাজার ছোট ও মাঝারি স্টেশন থেকে স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছিল বহু ট্রেনের। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সব স্টেশনে ফের স্টপের জোরালো দাবি করেছিলেন মানুষজন। তাঁদের অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছিল এই দাবি পত্রে। যদিও তা কর্ণগোচর হয়নি রেলমন্ত্রকের। বহু স্টেশনে এখনও দাঁড়ায় না বহু ট্রেন, যা আগে দাঁড়াত। ফলে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষজন পড়ে রয়েছেন সমস্যার মধ্যে। শ্রমজীবীরা পৌঁছতে পারছেন না কর্মস্থলে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। এই বঞ্চনার জন্য ক্ষোভও রয়েছে তাঁদের মধ্যে। এমনটাই মনে করেছেন রেল কর্তাদের একাংশ। করোনাকালে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছিল বহু শাখায়। যা এখনও বাতিল করে সংশোধন করা হয়নি। এজন্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
অন্যদিকে, প্রবীণ যাত্রী-সহ একাধিক ক্ষেত্রে রেলের তরফে টিকিটে যে বড় অঙ্কের ছাড় দেওয়া হত। তা করোনাকাল থেকে বন্ধ করে রেখেছে রেল। পাশাপাশি ট্রেনের স্লিপার কোচ কমিয়ে ফেলে এখন বাড়ানো হচ্ছে এসিতে মোড়া বন্দে ভারতের মতো ট্রেন। কোটি কোটি সাধারণ লোকের ‘লাইফ লাইন’ রেলকে জোর করে কর্পোরেট করার পরিকল্পনা নিয়ে তার যাবতীয় পরিকাঠামোকে অন্তিম পর্যায়ে নিয়ে আসার সবরকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছে রেলমন্ত্রক বলে রেলকর্তাদের একাংশের ধারণা। সাধারণ যাত্রীদের এখন রেলে চড়াটাই দায় হয়ে পড়েছে। এই বঞ্চনা প্রতিচ্ছবিই ভোটের রায় দানে প্রভাব ফেলেছে বলে তাঁদের ধারণা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.