Advertisement
Advertisement
Cattle Smuggling Case

অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি, অনুমতি দিল আদালত

নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন ইডির তদন্তকারীরা। 

Saigal Hossain can be taken to Delhi by ED in Cattle Smuggling Case | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 17, 2022 4:36 pm
  • Updated:October 17, 2022 10:00 pm   

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অবশেষে ইডির আরজি মঞ্জুর করল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। অর্থাৎ এবার বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর দেহরক্ষীকে দিল্লিতে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে কবে তাঁকে আসানসোলে সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

অন্যদিকে জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দাখিল করেন সায়গলের আইনজীবীর। মঙ্গলবার সকালে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হবে। পাশাপাশি, সায়গলের আইনজীবীর তরফে ইডিকেও নোটিস পাঠানো হচ্ছে। যাতে দিল্লি হাইকোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে সায়গলকে নিয়ে আসা না হয়।

এদিন আদালতে ফের প্রভাবশালী তত্ত্বে সরব হয় ইডির (Enforcement Directorate) আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল যথেষ্ট প্রভাবশালী। আসানসোল সংশোধনাগারে রেখে তাঁর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ বাধা পেতে পারে। তদন্তেও বাধা আসতে পারে। তাই সায়গলকে দিল্লিতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। ইতিপূর্বে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। কিন্তু সেখানে তাদের আরজি খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাই কোর্টেও আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেও ধাক্কা খায় তারা। অবশেষে দিল্লির আদালতে তাদের আরজি মঞ্জুর হল। 

[আরও পড়ুন: ‘সৌরভ বঞ্চিত’, ICC-তে মহারাজকে পাঠানোর জন্য মোদিকে অনুরোধ মমতার]

গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। সেদিনই দফায় দফায় জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল জেলে যায় ইডির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন দিল্লির আধিকারিক। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর সায়গলকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গ্রেপ্তারের পরই সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি।

[আরও পড়ুন: ‘চুরি হওয়া চাকরি ফেরত চাই’, সল্টলেকের রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণদের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ