Advertisement
Advertisement
নাইকো

কীভাবে মিলল কুখ্যাত জঙ্গি নাইকোর হদিশ? রহস্য ফাঁস করলেন কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান

দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের হিটলিস্টে ছিল সে।

Police got to Riyaz Naiko through the man who got him his food

ফাইল ফটো

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 8, 2020 9:23 am
  • Updated:May 8, 2020 9:23 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশনে খতম হয়েছে হিজবুলের শীর্ষ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকো। কিন্ত কীভাবে মিলল তার খোঁজ? কে দিল তার হদিশ? কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নই ঘুরছিল ভূস্বর্গের আনাচে কানাচে। শেষ অবধি সেই রহস্যের উপর থেকে পরদা সরালেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দলবীর সিং। জানালেন, তাদের অপারেশনের খুঁটিনাটি। বললেন, ‘দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল পেলাম।’

Advertisement

২০১২ সালে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য হয় দক্ষিণ কাশ্মীরের রিয়াজ নাইকো। এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে আসত রিয়াজ। বুরহানি ওয়ানির মৃত্যুর পর পুলিশ ও সেনার মাথাব্যথা হয়ে ওঠে সে। নিরীহ কাশ্মীরি থেকে পরিযায়ী শ্রমিক হত্যা সবেতেই উঠে আসতে থাকে রিয়াজের নাম। তখন থেকেই পুলিশের হিটলিস্টে ছিল বছর পঁয়ত্রিশের রিয়াজ নাইকো। কিন্তু খবর পেয়েও বারবার হাতছাড়া হচ্ছিল রিয়াজ। ঠোঁট আর কাপের দূরত্ব যেন মিটতেই চাইছিল না।

[আরও পড়ুন : ট্রেনের ধাক্কায় ভাঙল বাড়ি ফেরার স্বপ্ন, ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু ১৫ পরিযায়ী শ্রমিকের]

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দলবীর সিং জানান, গত ১৫ দিন ধরে দিন-রাত এক করে রিয়াজের হদিশ চালাচ্ছিল পুলিশ ও আধা সেনা। শেষমেশ তাদের আসল খবর দেয় রিয়াজেরই এক সহকারী। দলবীরের কথায়, “ওই ব্যক্তি রিয়াজকে খাবার পৌঁছে দিত। এমনকী, কবে কোথায় গাঢাকা দেবে তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর থাকত তার কাছে। তার থেকেই পাকা খবর পেয়ে অবন্তীপোরার বেইঘপোরায় হানা দেয় কাশ্মীর পুলিশ, ৫৫ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিফের যৌথবাহিনী।” কিন্তু দীর্ঘ তল্লাশির পরেও রিয়াজের টিকি না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা এবার খালি হাতে ফিরতে নারাজ। সূত্রের খবরের উপর ভরসা ছিল তাদের। তাই রাতেও সেখানে ঘাঁটি গাড়ে তারা। শেষমেশ দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

[আরও পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিক সেজে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ধৃত তিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া]

দলবীরের কথায়, “রিয়াজের নামে কাঁপত গোটা এলাকা। কিন্তু সেই তুলনায় তেমন একটা লড়াই করতে পারেনি ও। আমরা সন্দেহ করছিলাম ওই এলাকার দুটি বাড়ির মধ্যে গাঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। হয়তো সুড়ঙ্গপথে দুটি বাড়ি যুক্ত ছিল। আসলে রিয়াজের কাছের সহকারীদের আগেই খতম করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। জন্মস্থান দক্ষিণ কাশ্মীর অগুনতি গা-ঢাকা দেওয়ার জায়গা ছিল তার। কিন্তু শেষমেশ পুলিশের কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলল হাতেনাতে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement