সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মণিপুরের অবদান অপরিসীম। তাই মণিপুরি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কুর্নিশ জানাতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাউন্ট হ্যারিয়েটের নাম বদলে মাউন্ট মণিপুর করা হয়েছে। শনিবার ইস্ফলো দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মণিপুরের অবদান থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা নিতে হবে। মণিপুরেই প্রথম আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মণিপুরকে ভারতের স্বাধীনতার দ্বার বলেছিলেন। এই বীর এখানে আত্মত্যাগ করেছেন। আমাদের সরকার মণিপুরের মানুষদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলছে।”
দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে শনিবার মণিপুরে পা রাখেন মোদি। চূড়াচাঁদপুরের জনসভায় উপস্থিত হয়ে হিংসা ভুলে শান্তির আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বার্তা, ‘উন্নয়নের জন্য শান্তি জরুরি।’ উত্তর-পূর্বের রাজ্যে উন্নয়নের মেশিন চালিয়ে যেতে সংঘাত থামানোর আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।” ২০২৩ সাল থেকে কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর হিংসায় মেতে রয়েছে মণিপুর। তবে গত ২ বছরে একবারও মণিপুর যাননি মোদি। যার জেরে বিরোধীদের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সেই দাগ মুছতে এদিন মণিপুরের জন্য উপহারের ডালি সাজিয়ে মণিপুরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার যে মণিপুরের হিংসা থামাতে লাগাতার কাজ করছে সে কথা মনে করিয়ে মোদি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরে সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা করিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।” রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, “আপনাদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সকলে শান্তির পথে ফিরুন। আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। ভারত সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। মণিপুরকে স্বাভাবিক করতে সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা ঘরছাড়া হয়েছে তাঁদের জন্য ঘর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের জন্য।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.