স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মায়ের পায়ের কাছে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রীর ছবি! দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য যাতে মা দুর্গার আশীর্বাদ পান নরেন্দ্র মোদি, তাই পুজো কমিটিগুলিকে এই নিদান দিলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
গত শনিবার দিল্লির শতাধিক পুজো কমিটি ও রামলীলা আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেখা গুপ্ত। সেখানেই তিনি পুজো আয়োজনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। এত দূর পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও তাল কাটে বৈঠকের শেষের দিকে। যখন রেখা বলেন, “১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। সেদিন থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা সেবাপক্ষ চালাব। এই সময় দিল্লিজুড়ে চলবে নানারকম সেবামূলক কাজ। আমি চাই আপনারাও পুজোর দিনগুলোয় কোনও না কোনও সেবামূলক কাজ করুন।” মুখ্যমন্ত্রী যখন এই আবেদন করছেন, তখন বৈঠকে উপস্থিত পুজো উদ্যোক্তারা সাগ্রহে তা গ্রহণ করেন। তার পরই রেখা বলেন, “অবশ্যই প্রত্যেক মণ্ডপে মায়ের মূর্তির পায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখুন। যাতে মায়ের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।”
আশা ছিল ‘হিন্দুত্ববাদী’ দলের সরকার আসায়, পুজো সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে যাবে। তা হয়তো মিটল, তবে তার বদলে যে নিদান দিলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী, তা মেনে নিতে পারছেন না প্রবাসী বাঙালি উদ্যোক্তারা। পাছে কত্তা রেগে যান, সেই আশঙ্কায় আবার প্রকাশ্যে মুখও খোলা যাচ্ছে না! তবু ময়ূর বিহার ফেজ ওয়ান এক্সটেনশনের প্রায় আড়াই দশক পুরনো এক পুজো কমিটির অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা বললেন, “সব বকওয়াস। কেউ এসব করবে? ইয়ার্কি হচ্ছে?” চিত্তরঞ্জন পার্কের এক মেগাপুজোর মেগা কর্তার বক্তব্য, “রেখা গুপ্তা আমাদের জন্য যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে এক বালতি দুধে চোনা ফেলে দিলেন ওই কথাগুলো বলে। সবই শীর্ষনেতৃত্বকে তৈলমর্দন করার বিষয়। পুজোর সঙ্গে এভাবে রাজনীতি গুলিয়ে ফেলা মেনে নেওয়া যায় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.