Advertisement
Advertisement

টিকটিকির পর এবার রেলের খাবারে পোকা, প্রশ্নের মুখে খাবারের মান

এই খবর জানলে রেলের খাবার মুখে তোলার আগে দু'বার ভাববেন!

Passenger served ‘bugged’ pakodas from Sampark Kranti pantry
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 6, 2017 9:52 am
  • Updated:August 6, 2017 9:52 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই সংসদে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভারতীয় রেলে যে খাবার পরিবেশিত হয় তার মধ্যে অধিকাংশই মানুষের খাওয়ার অযোগ্য। সেই অভিযোগের সত্যতাই ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এবার রেলের পরিবেশিত খাবারে মিলল পোকা। বিহারের সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে এক যাত্রী তাঁর পকোড়ায় পোকা মিলেছে বলে অভিযোগ তুললেন।

Advertisement

গত ২ আগস্ট মহম্মদ আজাদ আলি বিহারের চাপরা থেকে নয়াদিল্লিগামী ট্রেনে উঠেছিলেন পরিবারকে নিয়ে। এস-৯ কোচে যাত্রা করছিলেন। ট্রেনেই খাবারের অর্ডার দেন। সেই খাবারের মধ্যে ছিল পকোড়া। সেটা ভেঙে ছেলেকে খাওয়াতে গিয়ে চমকে ওঠেন মহম্মদ আজাদ আলি। পকোড়ার ভিতর থেকে উঁকি দিচ্ছে একটি ‘ভয়ঙ্কর দেখতে পোকা’। আলি বলছেন, ‘যদি পোকাটা না দেখতে পেয়ে খেয়ে ফেলতাম কী হত?’ তাঁর অভিযোগ, স্টেশনের কোনও দোকান নয়, কেতাদুরস্ত প্যান্ট্রি কার থেকেই খাবার আনা হয়েছিল। অথচ, সেই খাবারে কী করে এমন পোকা মিলতে পারে, এর দায় কে নেবে?

[ভারতে হামলার ছক, যোগীর রাজ্যে ধৃত বাংলাদেশের জঙ্গি]

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মহম্মদ আজাদ আলি বলছেন, ‘আমার চার বছরের ছেলেকে খাওয়াতে গিয়ে পোকাটি নজরে আসে। আমি ভাবতেই পারছি না পোকাটা ওর পেতে গেলে কী হত। রেলের খাবার নিরাপদ হবে ভেবেই ৩০ টাকা দিয়ে খাবারের প্যাকেটটা কিনেছিলাম।’ অভিযোগ, খাবারের প্যাকেটটি নিয়ে প্যান্ট্রি কারের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

তখনই রেলের কাছে টুইটার মারফত অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ আজাদ আলির সহযাত্রীরা। উত্তর আসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পরের স্টেশনে ট্রেন থামতেই রেলের আধিকারিকরা তাঁর কাছে এসে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। কামরায় এক ডাক্তার এসে মহম্মদ আজাদ আলির চার বছরের পুত্রসন্তানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে। আলির দাবি, কামরার অন্যান্য কয়েকজন যাত্রী যাঁরা ওই পকোড়া খেয়েছিলেন, তাঁরা বমি করছিলেন।

ট্রেনে অখাদ্য পরিবেশনের এই অভিযোগ নতুন নয়। এমনকী, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে মিত্তলও সম্প্রতি যাত্রীদের পরামর্শ দেন, বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে রেলে যাত্রা করতে। যাত্রীদের কাছ থেকে খাবার সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ পেয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে তৈরি খাবারের কোনও বিকল্প হয় না।’ কয়েকদিন আগে হাওড়া থেকে নয়াদিল্লিগামী পূর্বা এক্সপ্রেসে খাবারের মধ্যে মৃত টিকটিকি পড়ে থাকতে দেখেন একদল পুণ্যার্থী।

[‘ভয়ে হাত-পা কাঁপছিল, ভাগ্য ভাল ওরা আমাকে ধর্ষণ করেনি’]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস