সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কাঁপছে পাকিস্তান। পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় আক্রমণ করে ভারতীয় সেনা। তাতে বিরাট সাফল্য! সূত্রের খবর জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) পুরো পরিবার এই আক্রমণে মৃত্যু ঘটেছে। এই মাসুদ আজহারই ছিল ২০০১-এ নয়া দিল্লির পার্লামেন্ট আক্রমণের মূলচক্রী। তার মাদ্রাসার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে লস্কর-ই-তইবার প্রধান ও ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সৈয়দকেও (Hafiz Saeed) খতম করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ৯টি জায়গায় আক্রমণ চালায় ভারতীয় সেনা। যার মধ্যে রয়েছে বহওয়ালপুর। জানা যাচ্ছে, এই বহওয়ালপুরই ছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘাঁটি। দীর্ঘদিন সে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকলেও ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ তার গতিবিধি নজরে রাখার চেষ্টা করছিল। ভারতীয় সেনার হামলার পর যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যায়, মাসুদ আজহারের ঘাঁটি মসজিদ ওয়া মরকজ তইবা একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)।
দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় সেনার আক্রমণে জইশ নেতা আজহার মাসুদের পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছে। যার মধ্যে তার ভাই ও বোনও রয়েছে বলে খবর। এও বলা হচ্ছে, সেই সময় মাসুদ নিজেও ওখানে উপস্থিত ছিল। ফলে তাকেও খতম করা হয়েছে বলে অনুমান। যদিও এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
UN designated Maulana Masood Azhar and his older sister and his entire family have been Killed.
— Navdeep Singh (@Navdeep_UK)
এর সঙ্গে লস্কর ঘাঁটি মুরিদিকের তইবা মসদিজও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা কুখ্যাত ছিল ‘সন্ত্রাসের আতুঁড়ঘর’ নামে। এএনআইকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি নেতা আলতাফ ঠাকুর বলেন, “বহু সন্ত্রাসবাদী মারা গিয়েছে। হাফিজ সৈয়দ ও মাসুদ আজহারও তাতে নিকেশ হয়েছে বলে ধারণা।” তবে এই বিষয়েও সরকার থেকে কিছু জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.