ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমী পোশাক মানেই পাশ্চাত্যের প্রভাব। যেখানে দল জাতীয়তাবোধের উন্মেষ নিয়ে ব্যস্ত সেখানে দলের মন্ত্রীরাই কেন পশ্চিমী পোশাক পরবেন? বরং ভারতীয় জলহাওয়ায় উপযুক্ত এরকম পোশাকই পরুন। পরামর্শ বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।
[ জন্মদিনে ‘হ্যান্ডসাম’ রাহুলকে দেখার সাধ ছিল ১০৭ বছরের অনুরাগীর ]
বিজেপির সাম্প্রতিক কার্যাবলীতে স্বামী যে রুষ্ট তাঁর একাধিক টুইটেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। আর কে নগর উপনির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় ফলাফল হয়েছে। একটা সময় নোটার থেকে প্রায় এক চতুর্থাংশ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ। জানিয়েছিলেন, শাসকদলে থেকে যে দল নোটার থেকে কম ভোট পায়, তার এবার দায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। এরপর পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের জন্মদিন পালনে বিজেপি মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়ডার জনসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। অথচ সংসদে মালব্যর জন্মদিন পালনে বিজেপির কোনও মন্ত্রী হাজির ছিলেন না। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই টুইট করে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম এই পোশাক বিধি।
Western dress is a foreign imposed slavishness. BJP should make it of party discipline for Ministers to wear Indian climate friendly clothes
— Subramanian Swamy (@Swamy39)
স্বামী জানান, ভারতবাসী এখনও ব্রিটিশ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। পশ্চিমী পোশাক পরা মানে সেই প্রভাবকেই স্বীকার করে নেওয়া। বিজেপি মন্ত্রীরা অন্তত তাই ভারতীয় পোশাকই পরুন। দলের তরফে এই অনুশাসন জারি করা হোক। আরও একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। জানান, সংবিধান অনুযায়ী মদ নিষিদ্ধকরণের সংস্থান রয়েছে। কিন্তু আইন করে তা সম্ভব কিনা, তা তিনি নির্ধারণ করতে পারেন না। তবে বিজেপি এটি দলীয় অনুশাসনের অন্তর্ভুক্ত করুক, এমনটাই দাবি তাঁর।
Article 49 of Const directs alcohol drinks be banned. While I am not for penal action, BJP should make as part of party discipline.
— Subramanian Swamy (@Swamy39)
এর আগে রাম মন্দির নিয়ে টুইট করে বিতর্কে এসেছিলেন স্বামী। বিচারাধীন বিষয় হলেও রাম মন্দির যে অযোধ্যাতে তৈরি হবে, তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলেছিলেন স্বামী। এমনকী পরের দিওয়ালি সেখানেই সেলিব্রেট করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কী করে একজন সাংসদ বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করেন, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই জেএনইউ-তে এক সেমিনারে তাঁর বক্তৃতা বাতিল করা হয়। স্বামী জানিয়েছিলেন, তাঁর মতামত যুবকদের প্রভাবিত করতে পারে বলে ভয় পেয়েছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠান বাতিলকে অসহিষ্ণুতা বলেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ।
[ কাচের ওপারে কুলভূষণ, এটাই কি মানবিকতা? পাকিস্তানকে তোপ শহিদ পরিবারের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.