সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই প্রচারের ধুম পড়ে গিয়েছে বিহারে। শুক্রবার সেখানে পা রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরজেডি প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে তুলোধোনা করলেন শাহ। বললেন, অতীতে ২০ বছর ধরে বিহারে জঙ্গলরাজ চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারকে সেই জঙ্গলরাজ থেকে মুক্ত করেছেন। ভয়াবহ সে দিন যেন পোশাক বদলে ফিরে না আসে।
তিন দিনের সফরে বিহার এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার সেখানেই এক বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বিহারের অতীত ‘দুর্ভাগ্য’ তুলে ধরে শাহ বলেন, “লালু-রাবড়ির জঙ্গলরাজ বিহারকে অর্ধশতাব্দী পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিহার তার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে। ওই জমানায় বিহার পরিণত হয়েছিল একটি ‘জরাগ্রস্ত’ রাজ্যে। শুধুমাত্র ১৫ বছরের জঙ্গলরাজে বিহার তার গরিমা, সম্পদ ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলে। কল্পনা করে দেখুন সেই ভয়াবহ ১৫ বছর কেমন ছিল। বিহারবাসীর কাছে অনুরোধ সেই জঙ্গলরাজ যেন পোশাক বদলে আবার ফিরে না আসে।”
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশংসা করে শাহ বলেন, “নীতীশ কুমার বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে মুক্ত করেছে। গত ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিহারের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ১১ বছর গরিব মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। গত ১০ বছরে বিহারে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। তোলাবাজি, গণহত্যা শেষ হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে। নতুন নতুন রাস্তাঘাট হচ্ছে। আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য ঠিক হয়ে গিয়েছে। গঙ্গার উপর ১০টি নতুন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে ৪টি সম্পন্ন হয়েছে। আমার বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পাটনা থেকে গয়া যেতে আমার সাড়ে ছয় ঘন্টা সময় লেগেছে। এখন, মাত্র দুই ঘন্টা লাগে। ১০ বছরে বিহারকে আমরা শিল্প রাজ্যে পরিণত করব। আমরা জানি বিহারের মানুষ পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান। বিহারকে এআই হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আমরা সচেষ্ট থাকব। নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালের বাজেটে কোসি নদীর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এর ফলে ৫০,০০০ একরেরও বেশি জমি সেচের সুবিধা পাবে এবং রাজ্য সম্পূর্ণ বন্যামুক্ত হবে।”
অনুপ্রবেশকারীর নামে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা মেরুকরণের অভিযোগ খণ্ডন করে শাহ আরও বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি গুরুতর সমস্যা। আমি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বলেছি। সেখানে ‘হিন্দু’ বা ‘মুসলিম’-এর নাম উল্লেখ করিনি। সমস্যা হলো বিরোধীদের, যারা বলছে যে মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, তাহলে তাই তাদের থাকতে দিন। এটা সাম্প্রদায়িকতা এবং মেরুকরণের রাজনীতি। আমরা এমন কিছু করতে পারি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.