Advertisement
Advertisement
Narendra Modi

থাকবে না ১২ শতাংশ কর! মোদির প্রস্তাবিত ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’তে কী কী বদল?

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন।

Narendra Modi announce Next Generation GST
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 15, 2025 2:29 pm
  • Updated:August 15, 2025 4:40 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। দীপাবলিতে দেশের মানুষের জন্য কেন্দ্রের বড় উপহার ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’। এই নতুন কর কাঠামোয় করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এই দীপাবলিতে বড় উপহার দিতে চলেছি। গত আট বছরে আমরা বড় জিএসটি সংস্কার করেছি এবং কর ব্যবস্থা সহজ করেছি। এখন পর্যালোচনার সময় এসেছে। আমরা রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কার’ আনতে প্রস্তুত।”

Advertisement

জিএসটির পাঁচটি মূল স্ল্যাব রয়েছে। শূন্য থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে ভাগ করা রয়েছে এই পাঁচ স্ল্যাব। অধিকাংশ পণ্যের উপর ১২ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ কর প্রযোজ্য। বর্তমানে প্রায় ২১ শতাংশ পণ্যের উপর রয়েছে ৫ শতাংশ কর। ১৯ শতাংশ পণ্যে ১২ শতাংশ কর এবং ৪৪ শতাংশ পণ্যে ১৮ শতাংশ কর রয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকার ১২ শতাংশ কর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে। ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, “এটি দীপাবলির উপহার। ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় পরিষেবার উপর কর উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। এতে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প লাভবান হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সস্তা হবে এবং অর্থনীতিতেও গতি আসবে।” প্রস্তাবিত ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’ সরকারের অর্থনৈতিক কর্মসূচির বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের মুখে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দ্রুত করতে এই প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরেই জিএসটির হার কমানোর দাবি উঠছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা এবং পাশপাশি সাধারণ পরিবার ও ব্যবসার উপর আর্থিক চাপ কমানো। বিশেষজ্ঞদের মতে, করের হার কমলে শুরুতে সরকারের রাজস্ব কমতে পারে। তবে সহজ পদ্ধতির কারণে কর জমার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং কম করের সাহায্যে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। এতেই রাজস্ব ক্ষতি পূরণ সম্ভব হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ