সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাইয়ো মোরি, ম্যায় নেহি মাখন খাইও।’ কবি সুরদাসের লেখা ও অনুপ জলোটার কণ্ঠে এই ভজন কে না শুনেছে! কৃষ্ণের বাল্যলীলার অন্যতম এক ছবি তাঁর মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্য। ‘মাখনচোর’ তাঁর আরেক নাম। কিন্তু এহেন নাম নিয়ে আপত্তি তুললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব! এরপরই তাঁকে পালটা দিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, কৃষ্ণের লীলাগুলি লিপিবদ্ধ এবং উদযাপিত হয়ে আসছে। একে বদলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
কৃষ্ণের বাল্যলীলার এক জনপ্রিয় অধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে তাঁর মাখন চুরি করার গল্প। বহু ভজন কিংবা ক্যালেন্ডারের ছবিতে বারবার ফিরে আসে সেই দৃশ্য। এরই প্রতিবাদ করে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”কৃষ্ণকে ‘মাখনচোর’ বলাটা একেবারেই ঠিক নয়। কৃষ্ণের এই মাখন চুরি করে খাওয়া আসলে কংসের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ওঁর রাগ ছিল কংস তাঁদের যা প্রাপ্য সেটা দখল করে নিচ্ছে। আর সেই ক্রোধ থেকেই গোয়ালা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে তিনি হাঁড়ি ভেঙে মাখন খেতেন। উদ্দেশ্য একটাই, শত্রুরা যেন এর নাগাল না পায়। তিনি এক বিপ্লবীর মতো এখানে বার্তা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু না বুঝে আমরা ওঁর এই বিপ্লবের এমন নামকরণ করেছি।” তাঁর মতে, সমৃদ্ধ পরিবারের সন্তান কৃষ্ণের চুরি করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার বিরোধী নেতা কংগ্রেসের বিধায়ক উমং সিংহার বলেছেন, কৃষ্ণের জীবনকাহিনির ইতিহাসই বদলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”মোহন যাদব নিজের খেয়ালে ইতিহাস লিখতে চান। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কৃষ্ণের লীলাগুলি লিপিবদ্ধ এবং উদযাপিত হয়ে আসছে। উনি কি সনাতন ধর্মের এই আদি কাহিনিগুলি বদলে দিতে চান?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.