সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বিলোপের সুবিধা সম্পর্কে বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সিং বলেছিলেন, ‘দলের কর্মীরা উৎফুল্ল, বিশেষ করে যাঁরা অবিবাহিত। এবার ফর্সা কাশ্মীরি মেয়েদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া যাবে।’ এই মন্তব্যের জন্য রীতিমতো সমালোচিত হতে হয়েছে বিক্রম সিংকে। কিন্তু গুগল বলছে, একা বিক্রমকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। গোটা দেশেই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়েই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অবিবাহিত পুরুষরা কাশ্মীরি মেয়েদেরই নিজেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
গুগলের দেওয়া তথ্য বলছে, ৩৭০ ধারা রদের পরই গোটা দেশে গুগল সার্চের ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসে কাশ্মীর। বলা বাহুল্য, কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়েই বেশি সার্চ করেছেন নেটিজেনরা। মূলত দুটি ‘কিওয়ার্ড’ দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। এক, ‘কাশ্মীরি গার্ল’ এবং দুই ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্লস ‘। গুগল সার্চের এই প্রবণতাই বলছে, ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর কাশ্মীরি মেয়েদের সহজলভ্য ভাবতে শুরু করেছেন অনেকেই। আসলে তাদের ধারণা, ৩৭০ ধারা চালু থাকার জন্য কাশ্মীরি মেয়েদের অন্য রাজ্যের পুরুষদের বিয়ে করার অধিকার ছিল না। সেটা আদতে সত্যি নয়, আগেও কাশ্মীরি মেয়েরা অন্য রাজ্যের পুরুষদের বিয়ে করতে পারত। কিন্তু সেক্ষেত্রে মুশকিল ছিল, অন্য রাজ্যে বিয়ে করলে কাশ্মীরি মেয়েদের নাগরিকত্ব হারাতে হত, একই সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পত্তির উপর তাদের অধিকারও থাকত না। কিন্তু, এখন আর সেসব বাধা নেই। একবার কাশ্মীরি মেয়েকে বিয়ে করতে পারলেই রাজত্ব-সহ রাজকন্যার হাতছানি। আর তাতেই মজেছেন নেটিজেনরা।
অনেক পুরুষের ফ্যান্টাসিতেই যে কাশ্মীরি কন্যারা আনাগোনা করে সেকথা অবশ্য বলাই বাহুল্য। কোথাও যেন সেই ফ্যান্টাসি আর বাস্তবের মাঝে দেওয়াল তুলে রেখেছিল ৩৭০ ধারা। সেই দেওয়াল ভেঙে পড়তেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে ভারতীয় পুরুষদের। গুগলে ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’ লিখে সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছেন তথাকথিত শিক্ষিত রাজ্য কেরলের পুরুষরা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। তার পরেই রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানা। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। সপ্তম ও অষ্টম স্থানে যথাক্রমে তামিলনাডু ও উত্তরপ্রদেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.