সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্তের সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মামলায় এনআইএ আদালত সাতজনকে বেকসুর খালাস করার পরে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস-দমন স্কোয়াড (এটিএস)-এর প্রাক্তন আধিকারিক মেহবুব মুজাওয়ার।
তাঁর দাবি, তদন্তকে ‘ভুল দিকে’ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মুজাওয়ার বলেন, “মালেগাঁও বিস্ফোরণের তৎকালীন প্রধান তদন্ত আধিকারিক পরমবীর সিং আমাকে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “এই মামলাটিকে গেরুয়া সন্ত্রাস মামলার মতো করে দেখানোর জন্য মোহন ভাগবতকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল।” তাঁর কথায়, “মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণের ভুয়া তদন্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এই মামলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু পরে আমায় খালাস করা হয়।” মুজাওয়ার বলেন, “ওই তদন্ত ভুয়া ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত দেখিয়ে চার্জশিট জমা দিতে। আমি অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যে মামলা রুজু হয়। পরে সেসব মামলা থেকে আমি বেকসুর খালাস পাই।”
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে ভয়ংকর বিস্ফোরণে হয়। ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন একশোর বেশি। তদন্তে উঠে আসে, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরবাইক দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) প্রাথমিকভাবে জানায়, বিস্ফোরণের নেপথ্যে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যে মোটরবাইকে বোমা রাখা ছিল সেটা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নথিভুক্ত ছিল। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হন সাত অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.