সুদীপ রায়চৌধুরী: রাজ্যের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার তুলনায় তৃতীয় দফায় বেড়েছে ভোটের হার। তবে তৃতীয় দফায় ভোটের হার বাড়লেও তা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এর পিছনে একাধিক কারণ দেখছে নির্বাচন কমিশন। তবে এর নেপথ্যে মূল কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, ছাপ্পা ভোট কমে যাওয়া এবং ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার উধাও হয়ে যাওয়া।
কমিশন (Election Commission) মনে করছে ভোটের হার কমার মূল কারণ তিনটি। ১) ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ পড়া। বিরোধীদের অভিযোগের পর ভোটার তালিকা থেকে বহু ভুয়ো ভোটারের নাম আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। ২) ছাপ্পা ভোট না পড়া। কমিশন মনে করছে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হওয়ায় প্রতিবার যে বাড়তি ভোটটা ছাপ্পা হিসাবে পড়ে। এবার সেটা আটকানো গিয়েছে ৩) পরিযায়ী শ্রমিকদের সবার না আসা। কমিশন মনে করছে, ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা দেখে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকই এবার ভোট দিতে আসেননি। সেটাও একটা প্রভাব ফেলেছে।
কমিশন এক কর্তার ব্যাখ্যাা, এবারে প্রথম থেকেই ভোটার তালিকায় (Voter List) ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার উপর জোর দেওয়া এবং ছাপ্পা ভোট রুখে দেওয়ায় সফল হওয়ার জন্যই ভোটের হার কমেছে। পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার কারণে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই ভোট দিতে আসেননি বলে কমিশন কর্তাদের ধারণা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এগুলিই যদি ভোট কমার কারণ হয়, তাহলে সেটা কমিশনের ব্যর্থতা হিসাবে না দেখিয়ে সাফল্য হিসাবেই দেখা উচিত।
উল্লেখ্য, কমিশনের পক্ষ থেকে যে চূড়ান্ত ভোটের হার জানানো হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৬.০৩ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৬.৬৯ শতাংশ। জঙ্গীপুরে ভোট পড়েছে ৭৫.৭২ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, আগের দিন জানানো হিসাবের তুলনায় এই তিন কেন্দ্রে চূড়ান্ত ভোটের হার বেড়েছে তিন শতাংশের কাছাকাছি। চতুর্থ কেন্দ্র মুর্শিদাবাদে প্রাথমিক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে ভোটের হার পাঁচ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১.৫২ শতাংশ। সব মিলিয়ে লোকসভার (Lok Sabha 2024) তৃতীয় পর্বে রাজ্যের ভোটের গড় হার ৭৭.৫৩ শতাংশ। যা ২০১৯ সালের থেকে থেকে প্রায় ৪ শতাংশ কম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.