Advertisement
Advertisement

‘ধুঁকে ধুঁকে বাঁচার কোনও অর্থ হয় না’, বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মন্তব্য তেজপ্রতাপের

শুক্রবার পাটনা আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন তিনি।

Lalu’s son files divorce plea
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:November 3, 2018 5:57 pm
  • Updated:November 3, 2018 5:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকার কোনও অর্থ হয় না।’ বিয়ের ছ’মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করে একথাই বললেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। শুক্রবার পাটনা আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন তিনি। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেই বিচ্ছেদ মামলার খবর নিশ্চিত করেছেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে আমি বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেছি। ধুঁকে ধুঁকে বাঁচার তো কোনও অর্থই হয় না। তার থেকে এই ভাল।’

Advertisement

এর আগে তেজপ্রতাপের আইনজীবী যশবন্ত কুমার শর্মা বলেন, ‘দু’জনের মানসিকতার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। গত পাঁচমাস ধরে সেই ফারাক মেটানোর চেষ্টা করেছেন আমার মক্কেল। তবে কোনও সুফল না মেলায় শেষে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।’

[বরাকে ফের জঙ্গিদের হামলা, ৬ জনকে গণধোলাই জনতার]

চলতি বছর ১৮ এপ্রিল ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারেন তেজপ্রতাপ যাদব৷ ১২ মে হয় বিয়ে৷ ছেলের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে প্যারোলে জেল থেকে বাইরে এসেছিলেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব৷ ২০০টি গাড়ি ও ঘোড়া সঙ্গে নিয়ে বিবাহ আসরে পৌঁছেছিলেন তেজপ্রতাপ৷ জমকালো সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক-সহ রাজনৈতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা৷ কিন্তু বছর ঘোরার আগেই তেজপ্রতাপের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

তেজপ্রতাপের স্ত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের পরিবারও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত৷ তাঁর বাবা চন্দ্রিকা রাই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা৷ সুতরাং দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়ই ছিল৷ এরপরেও তেজপ্রতাপ আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এথনও স্পষ্ট নয়৷ ধুঁকে ধুঁকে বাঁচা বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তারই উত্তর খুঁজছে সাংবাদিক মহল। এদিকে এই বিচ্ছেদ মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৯ নভেম্বর। এমনটাই আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে বলে খবর।  

[অমৃতসর দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল রেল]

সম্প্রতি ছোট ভাই তেজস্বীর সঙ্গে তেজপ্রতাপের মনোমালিন্যের খবর বেশ জলঘোলা করেছিল৷ একটি টুইটে সেই জল্পনা নিজেই উসকে দিয়েছিলেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ টুইটে তেজপ্রতাপ জানিয়েছিলেন, “অর্জুনকে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসিয়ে আমি দ্বারকা চলে যেতে চাই”৷ তখন থেকেই শুরু হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের রাজনীতি ত্যাগের জল্পনা৷ পরে তাঁর সিনেমায় নামার খবর সেই জল্পনা আরও তীব্র করে৷ এবার স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছেদের পথে হাঁটলেন তিনি৷

[ফের অসমে চলল গুলি, এবার আতঙ্ক ছড়াল বিহারি লাইনে]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement