Advertisement
Advertisement
সিএএ

সিএএ’র সমর্থনে রাজ্যপালকে বক্তব্য রাখতে বাধা ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবের!

অশীতিপর ইতিহাসবিদের বিরুদ্ধে উঠছে গুন্ডামির অভিযোগ।

Kerala Governor Faces Protests At Indian History Congress
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 29, 2019 8:58 am
  • Updated:December 29, 2019 1:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে এ বার প্রতিবাদের আঁচ গিয়ে পড়ল কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস’ (IHC)-এর মঞ্চেও। সেই বিক্ষোভের সামনে পড়ে উদ্বোধনী বক্তৃতা থামিয়ে দিতে বাধ্য হলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।

Advertisement

শনিবার সিএএ ও এনআরসির সমর্থনে উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই সওয়াল করেছিলেন। টেনে এনেছিলেন দেশভাগ ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ। কিন্তু, তাঁর বক্তব্য ‘উত্তেজক’ বলে পালটা অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। মঞ্চে থাকা ইতিহাসবিদ কেও রাজ্যপালের কথার প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এর ফলে কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০তম ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধল। আর সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। নাম জড়াল ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবেরও।

[আরও পড়ুন: আন্টার্কটিকাকেও হারাল লাদাখ, রেকর্ড হারে তাপমাত্রার পারদ পতন]

 

ঘটনার সূত্রপাত হয় রাজ্যপালের বক্তব্যকে ঘিরে। আরিফ খান তাঁর বক্তব্যে টেনে আনেন সিএএ ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ। বলেন, মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরু দেশভাগের পর পাকিস্তানে থাকা অমুসলিমদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা সিএএ পূরণ করেছে। দেশভাগের জন্য কেরল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি এখানকার মানুষের সহমর্মিতা রয়েছে। এমনকী তাঁরা কোনও বিষয় না জেনেই প্রতিবেশী যখন প্রতিবাদ দেখান তখন তাতে যোগ দেন। দেশভাগের ঘটনা মূলত উত্তর ভারতের মানুষের ভাবনায় আঘাত দিয়েছিল।’ এই কথা বলার পাশাপাশি তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করছিলেন।

[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি আপনার কাজ নয়’, রাওয়াতকে উপদেশ চিদাম্বরমের]

 

এইসময়ই আচমকা নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব। মহাত্মা গান্ধী বা নেহরুর পরিবর্তে নাথুরাম গড়সের বক্তব্য উদ্ধৃত করা উচিত বলে কটাক্ষ করেন। প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে সভাস্থলে বসে থাকা পড়ুয়ারাও। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরা এসে অশীতিপর ইতিহাসবিদকে সরিয়ে নিয়ে যান। পড়ুয়াদের মধ্যেও পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার সময় ইরফান হাবিবকে রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরা ধাক্কা মেরেছেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার পর রাজ্যপালের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘটনার জন্য ইরফান হাবিবকেই দায়ী করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি রাজ্যপালের নিরাপত্তা রক্ষীদের কাজে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement