সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ঝুলছে ইমপিচমেন্টের খাড়া। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নগদ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যে তিন বিচারপতির তদন্ত কমিটি গড়েছিল, সেই কমিটির রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে অনুমানকেই সত্যি ধরে নেওয়া হয়েছে কমিটির রিপোর্টে।
বিচারপতি বর্মার বাড়িতে প্রচুর নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আগুন লাগে। তখনই তাঁর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ পান দমকল কর্মীরা। এরপর বিচারপতির বাড়ির কাছে রাস্তা থেকেও পাঁচশো টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত ওই অর্থের উৎস জানা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষ আদালতের ইন হাউস কমিটি পুরো বিষয়টির তদন্ত করেছে।
ওই তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে ৪ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। মোট ৫৫ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তদন্ত করেছেন। তদন্তের ভিত্তিতে তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট বলছে, বিচারপতি বর্মার বাড়ির স্টোররুমে টাকা উদ্ধারের প্রমাণ মিলেছে। ওই স্টোররুমটি শুধু বিচারপতি বর্মার পরিবারের লোকেরাই ব্যবহার করতেন। বাইরের কেউ বিনা অনুমতিতে সেখানে প্রবেশ করতে পারত না। সুপ্রিম কোর্টের ওই কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিচারপতি বর্মাকে ইমপিচ করার সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র।
সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিচারপতি বর্মা। তাঁর দাবি, তিন বিচারপতির ওই সুপারিশ পুরোপুরি খারিজ করে দিতে হবে। ওই রিপোর্টে সাংবিধানিক পদাধিকারী হিসাবে এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। ওই কমিটি কিছু মনগড়া অনুমানকে সত্যি ধরে নিয়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দিয়েছে। এখন তাঁকে সেই মনগড়া তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করেছেন সেটাও খারিজ করার দাবি করেছেন বিচারপতি বর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.