সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরের ২১৫টি স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি এই ইস্যুতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। ৩ বছর আগে এই সমস্ত স্কুল সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল। অতঃপর স্কুলগুলি চালু করা হচ্ছে, তবে স্কুলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলগুলি পরিচালনা করত জম্মু ও কাশ্মীরের ‘ফলাহ-এ-আম ট্রাস্ট’ (FAT) নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে এই সংগঠনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির যোগ সামনে আসায় নিষিদ্ধ করা হয় সংগঠনটিকে। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় এফএটি-এর অধীনে থাকা স্কুলগুলি। শুরু হয় তদন্ত। এরপরই সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ২১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় স্কুলগুলির পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/জেলা প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রণে। নির্দেশ অনুযায়ী, যথাযথ যাচাইয়ের পর স্কুলগুলির জন্য একটি নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রস্তাব করা হবে। কাশ্মীর উপত্যকার হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করে, যাদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের।
অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। প্রায় তিন দশক আগে জামাত দ্বারা পরিচালিত সমস্ত স্কুলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জামাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে প্রথম দফায় ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল এই সংগঠনের উপর। পর তার মেয়াদ বাড়ে। ১৯৮৭ সালের পর গত বিধানসভা নির্বাচনে জামাত-সমর্থিত প্রার্থীরা নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.