Advertisement
Advertisement
Jammu and Kashmir

ফের হড়পা বানে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর, মৃত অন্তত ১১! জলের তোড়ে ভেসে গেল ঘরবাড়ি

একই বাড়িতে মৃত্যু হয় পাঁচ শিশু-সহ সাতজনের।

Jammu and Kashmir flash flood in ramban kill atleast 11

ফাইল ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:August 30, 2025 12:50 pm
  • Updated:August 30, 2025 12:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিস্তওয়ারের পরে এবার রেয়াসি এবং রামবান। ফের হড়পা বান আর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শুক্রবার থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে এই অঞ্চলে। শনিবারের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিহত হয়েছেন ১১ জন। জলের তোড়ে বাড়ি ভেসে নিখোঁজ বহু মানুষ।

Advertisement

রেয়াসি জেলায় শুক্রবারের ধসে ভেঙে পড়ে বাড়ি। একই বাড়িতে মৃত্যু হয় সাতজনের। এর মধ্যে পাঁচজনই শিশু। শনিবার তাদের দেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে রামবানে মেঘভাঙা বৃষ্টি থেকে হওয়া হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাজগড় এলাকার দুটি বাড়ি। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের, নিখোঁজ আরও চারজন।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যায় ভেসে গিয়েছে আশপাশের অঞ্চলের বহু ঘরবাড়ি। ঘটনার পরেই দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমেছে প্রশাসন। পাশাপাশি অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “রামবানের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। রামবানের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

বিপর্যস্ত উপত্যকায় বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগ। জানানো হয়নি কবে খুলবে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক। জম্মু অঞ্চলে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এই অঞ্চল অল্পের জন্য একটি বড় সংকট থেকে রক্ষা পেয়েছে।” অর্থাৎ আরও বড় দুর্যোগের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শনিবার ফের হরপা বানের কবলে পড়ল উপত্যকা। 

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এরপর মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে ডোডায়। ভয়ংকর বৃষ্টির জেরে আসে হড়পা বান। যার জেরে এলাকার ১০টি বাড়ি ভেসে যায়। প্রশাসন জানায়, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় অন্তত চার জনের। পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ হন। তাউই নদীর জল বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে যায় বলে দাবি করে প্রশাসন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement