সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে মন্দিরের পোষা হাতির ঠাঁই হয়েছে গুজরাটে আম্বানিদের পরিচালিত একটি পশু উদ্ধার কেন্দ্রে। এই ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের জৈন সম্প্রদায়ের মানুষরা। এমনকী তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আম্বানির জিও-র বিভিন্ন পরিষেবাও বয়কট করেছেন বলে খবর।
মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের নন্দিনী মঠ নামে একটি জৈন মন্দিরের পোষা হস্তিনী মাধুরি। সম্প্রতি তাকে সেখান থেকে সরাতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ দ্বারস্থ হয় পশুপ্রেমী সংগঠন ‘পেটা’। আবেদনে তারা জানায়, বিগত বেশ কিছু বছর ধরে বছর পয়ত্রিশের মাধুরির আচরণ যথেষ্ট বিপজ্জনক। এমনকী তার আক্রমণে এক জৈন পুরোহিতের মৃত্যুও হয়েছে বলে অভিযোগ। আদালতে ‘পেটা’ দাবি করে, ওই হস্তিনীকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার করে কোনও অভয়ারণ্যে পাঠানো হোক। এরপরই বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে মাধুরিকে গুজরাটের ভান্তরা পশু উদ্ধার কেন্দ্র পাঠানো হয়। হস্তিনীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময়কার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বহু মানুষ।
এই ঘটনার পরই কর্ণাটকের হুবলি এবং বেলাগাভিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন জৈনরা। এই পদক্ষেপটিকে তাঁরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি অবমাননা হিসাবেই দেখছেন। তাঁদের দাবি, হ্স্তনীটিকে অবিলম্বে মঠে ফিরিয়ে আনা হোক অথবা কোনও সরকারি স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। কর্ণাটকের কনকগিরি মঠের ভুবনকীর্তী বাত্তারক বলেন, “আমরা ১৪ হাজারেরও বেশি গোশালা পরিচালনা করি। আমাদের পশু কল্যাণ সম্পর্কে শেখানোর কোনও দরকার নেই। হস্তিনীটিকে স্থানান্তরের পরিবর্তে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সরকার মঠের সঙ্গে কাজ করতে পারতো না? মাধুরিকে গুজরাটে কেন পাঠানো হল?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.