সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিন্ধু চুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই, এবার চন্দ্রভাগা নদীর উপর বাঁধ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিল মোদি সরকার। পাকিস্তানকে শুকিয়ে মারতে কিশতয়াড়া জেলায় ‘কোয়ার বাঁধ’ নির্মাণ করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। এই প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের ৩১১৯ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্তানের।
কোয়াকর বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে গ্রিনফিল্ড স্টোরেজ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্প তৈরিতে ভারতের খরচ পড়বে ৪৫২৬ কোটি টাকা। বাঁধটি নির্মিত হলে সেখান থেকে তৈরি হবে ৫৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বলার অপেক্ষা রাখে না এর ফলে নদীর স্বাকভাবিক জলপ্রবাহ ব্যহত হবে। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতাদেশের জেরে একেই জল সংকটে পাকিস্তান। তার উপর এই বাঁধ নির্মাণ হলে আরও বিপাকে পড়বে ভারতের শত্রু প্রতিবেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কাজ শেষ করেছিল সরকার। এর পাশাপাশি ৬০৯ মিটার দীর্ঘ টানেল খননের কাজও শুরু হয়েছে। এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে পুরোদমে বাঁধ নির্মাণের কাজ। সেই লক্ষ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩১১৯ কোটির ঋণ চাইল কেন্দ্র।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা। প্রকল্প শেষ হলে এখান থেকে উদ্ভুত বিদ্যুতের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের শিল্পক্ষেত্র উজ্জীবিত হবে। উল্লেখ্য, এমন একটা সময়ে এই প্রকল্পের কাজ গতি পেয়েছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। চন্দ্রভাগা সিন্ধু নদের অন্যতম প্রধান একটি উপনদী। পাকিস্তানের একটি বড় অংশ এর জলের উপর পুষ্ট। ভারত বাঁধ নির্মাণ করলে পাকিস্তান এই নদীর জল পাবে না। যা পাকিস্তানের কৃষিক্ষেত্রকে নষ্ট করবে। যদিও সিন্ধু জলচুক্তির উপর ভারত স্থগিতাদেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। তবে পাকিস্তানের লাগাতার আপত্তির মাঝে ভারতের এই পদক্ষেপ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.