মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে অবশ্যম্ভাবী সংঘর্ষ এড়াতে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ৬ জুন শনিবার সকালে লাদাখে দুই দেশের সেনার বর্তমান অবস্থান নিয়ে বৈঠকে বসছেন ভারত ও চিনের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার সেনাকর্তারা।
India & China to hold Lieutenant General-level talks on June 6 to address ongoing dispute in eastern Ladakh along Line of Actual Control by China. 14 Corps Commander Lt Gen Harinder Singh scheduled to hold talks with his Chinese counterpart: Indian Army Sources
Advertisement— ANI (@ANI)
গত প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বরাবর একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যেই দুই দেশের সেনার আস্ফালনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। এই অবস্থায় দুই বাহিনীর মধ্যে গত দু’সপ্তাহ ধরে কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। গত মঙ্গলবারও দুই দেশের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানসুত্র বের হয়নি। ফলে ৬ তারিখ দুই দেশের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হবে। ভারতীয় সেনা কর্তাদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন লাদাখে সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। সেই বৈঠকের আগে বুধবার মন্ত্রিসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও এই বৈঠকে লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) জানান, “লাদাখের বিভিন্ন সেক্টরের একাধিক ফরোয়ার্ড পোস্টে চিন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। জবাবে ভারতও বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, দুই দেশের বাহিনী ৫০০ মিটার দূরত্বে মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রায় ২৫ দিন ধরে লালফৌজ গালওয়ান নদী উপত্যকা, দারবুক, দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ একাধিক সেক্টরের কাছে অস্ত্রশস্ত্র সহ ঘাঁটি গেড়েছে। কারাকোরাম পাসের কাছে ভারত রাস্তা তৈরি বন্ধ না করলে সেনা সরাবে না বলে চিন সাফ জানিয়েছে। রাস্তা তৈরি বন্ধ হবে না বলে ভারতও পালটা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরস্থিতিতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের এই বৈঠকে নজর থাকবে গোটা দেশের। বৈঠক ফলপ্রসু না হলে, কূটনৈতিক আলোচনার পথে হাঁটতে পারে দুই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.