সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) বা বিশেষ সংশোধন নিয়ে বিদ্রোহ বাড়ছে বিরোধীদের মধ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে সবার আগে এই বিশেষ পদক্ষেপ শুরু করেছে কমিশন। সে রাজ্য থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদও শুরু হয়েছে। বুধবার বিহারের ১১টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একযোগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল এসআইআর নিয়ে। তাঁদের দাবি, এই প্রক্রিয়া আসলে ভোটবন্দি করার চেষ্টা।
বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিহার নির্বাচনের এসআইআর নিয়ে অনুমোদনহীন কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য কমিশনের তরফ থেকে সময় দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতা তথা দলের সভাপতি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইলেই কমিশন তা দেবে। সভাপতি না আসতে পারলে তাঁর মনোনীত দু-জনকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে কংগ্রেস-সহ ১১টি দলের ২০ জন সদস্য কমিশনে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুই কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও অখিলেশ সিংকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। জয়রাম রমেশ, পবন খেড়ার মতো কংগ্রেস নেতা-সহ বাকি কংগ্রেস নেতারা এবং অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সিংভি কমিশনের নির্দেশিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের রাজনৈতিকদলগুলির সঙ্গে কমিশনের আলোচনার সুযোগ কমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে জয়রাম রমেশ জানান, নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলের অধিকার খর্ব করছে। দেশের গণতন্ত্রকেই যেন অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।
বিহার নির্বাচনের জন্য কমিশনের তরফ থেকে এসআইআরের ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে কমিশনকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। চাপের মুখে পড়েই অনুমোদনহীন ব্যক্তিকে সময় না দেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাতে কমিশন বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। তাতেই আপত্তি বিরোধী শিবিরের। লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলছেন, “এটা আসলে ভোটবন্দি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.