সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণের টাকা না মেটানোয় গৃহবধূর ঘরে সাপ ছেড়ে দিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকী সাপে কাটার পরও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। পরে ওই মহিলার বোন খবর পেয়ে ছুটে আসেন এবং দিদিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার অবস্থা গুরুতর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের কননেলগঞ্জে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ইতিমধ্যে ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম রেশমা। তাঁর বোন রিজওয়ানা জানিয়েছেন, পণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দিদিকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকী ড্রেন দিয়ে ওই ঘরে একটি সাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রিজওয়ানার। শুধু তাই নয়, তাঁর কথায়, রাতে সাপটি রেশমার পায়ে ছোবল দেয়। এরপর থেকেই তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ রিজওয়ানার। কোনওমতে রিজওয়ানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন রেশমা। আর তা জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তিনি।
একেবারে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রেশমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান রিজওয়ানা। তিনি জানিয়েছেন, গত ২০২১ সালের ১৯ মার্চ শাহনাওয়াজের সঙ্গে বিয়ে হয় রেশমা। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। রেশমা বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চাপের মুখে একবার দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দাবি ছিল আরও। অভিযোগ, বাকি পাঁচলাখ টাকা না মেটানোয় নানাভাবে অত্যাচার চলত। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অত্যাচারের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যায়!
রিজওয়ানার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহনাওয়াজ এবং তাঁর বাবা এবং মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়াও শ্বশুরবাড়ির আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে অভিযোগে। হত্যার চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় এই মামলা রুজু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.