সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়ছে ভারতীয় খাবারের রীতিতেও। ফলে করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে বাদ পড়ছে বহু খাবার। করোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঙ্গালুরুতে বাড়ছে কলেরার সংক্রমণ। ফলে বাদ পড়ছে কেরলের স্ট্রিট ফুড। বন্ধের মুখে বহু ব্যবসা।
নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আগ্রা, রাজস্থান, বিহার, কেরল এমনকি জম্মু-কাশ্মীরেও জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭। দেশের ২১টি বিমানবন্দরে চলছে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং। আতঙ্কের এই পরিবেশের মাঝেই নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। শহরজুড়ে থাবা বসিয়েছে কলেরার সংক্রমণ। গত সপ্তাহ থেকে কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জন। পেটের রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম কলেরার সংক্রমণ ধরা পড়ে গত সপ্তাহে। তারপর শহরের নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দু’একজনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ব্রুহাট বেঙ্গালুরু পুরনিগমের চিফ মেডিক্যাল অফিসার বিজেন্দ্র বলেছেন, শহরের নানা জায়গায় কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও রয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মলের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। সেই রিপোর্ট এলে আশঙ্কা করা হচ্ছে শহরে কলেরা রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, “কলেরা যে নতুন করে ফিরে এল এমনটা নয়। দেশ থেকে কখনওই পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। প্রতি বছরই কিছু জীবাণু মেলে। “
বিবিএমপি-র চিফ মেডিক্যাল অফিসার বিজেন্দ্র জানাচ্ছেন, “গত দু’বছরে কলেরার সংক্রমণ ধরা পড়েনি বেঙ্গালুরুতে। এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে যা চিন্তার বিষয়। শহরের সমস্ত খোলা নর্দমা, ড্রেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা যে এলাকা রয়েছেন সেখানকার পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে ।”
With cases of and gastrointestinal infections being reported from various parts of , is taking all steps possible including testing of the water samples of affected areas and spreading door to door awareness. (1/2)
— M Goutham Kumar (@BBMP_MAYOR)
এদিকে স্ট্রিট ফুড বন্ধের নির্দেশ জারি হওয়ার পরে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে হকারদের। বেঙ্গালুরু স্ট্রিট ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী বিনয় কে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, “স্ট্রিট ফুড থেকেই কলেরা ছড়িয়েছে এটা তো প্রমাণিত হয়নি। শহরের হকাররা পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখেন। খাবার তৈরির সময় ভাল জলও ব্যবহার করা হয়। কাজেই তাঁদের রুজিরুটি বন্ধ করে দেওয়ার মানে হয় না।” কলেরা রুখতে স্ট্রিট ফুড ভেন্ডররাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.