Advertisement
Advertisement
Hyderabad rape

হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের খুন করেছে পুলিশ, চাঞ্চল্যকর দাবি সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত কমিটির

ওই এনকাউন্টার 'ফেক' অর্থাৎ সাজানো, দাবি তদন্তকারীদের।

Hyderabad gang-rape, murder accused 'deliberately fired upon to cause death', says probe panel | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 20, 2022 4:15 pm
  • Updated:May 20, 2022 4:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যা কাণ্ডের অভিযুক্তদের খুন করেছে পুলিশ। ওই এনকাউন্টার ‘ফেক’ অর্থাৎ সাজানো। নিজের রিপোর্টে এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত তদন্ত কমিটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাটেও ভরাডুবি হবে কংগ্রেসের, আগাম বলে দিলেন পিকে]

২০১৯ সালের তেলেঙ্গানার সামশাবাদের কাছে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় এক মহিলা চিকিৎসককে। ওই ঘটনার নারকীয়তায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। প্রথমে মামলা নিয়ে গড়িমশি করলেও শেষমেশ চার অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। ওই বছরই ডিসেম্বরের ৬ তারিখ সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই চার অভিযুক্তকে। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। তাদের পালানো আটকাতে গিয়ে পুলিশ ওই চারজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনের।

এদিকে, ওই এনকাউন্টারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ করা হয়, গোটা ঘটনা আসলে সাজানো। পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে চার অভিযুক্তকে। সেই অভিযোগেই এদিন সিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত সিরপুরকার কমিশন। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, “আমাদের মনে হয়, অভিযুক্তদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি চালানো হয়েছিল। ওই এনকাউন্টার সাজানো।” জানা গিয়েছে, রিপোর্ট জমা পড়ার পরই এই বিষয়ে তেলেঙ্গানা হাই কোর্টকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, পুলিশ রিপোর্ট মোতাবেক ঘটনার দিন বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসক হায়দরবাদের কাছে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় নিজের স্কুটিটি রাখেন। সেখান থেকে কাছেই একজন ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। রাত ন’ টার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছন তিনি। দেখেন, তাঁর স্কুটির একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। ঠিক ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল ওই তরুণীর বোনের। তিনি শেষবার ফোনে ভয় লাগছে বলে জানান বোনকে। এরপর থেকে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় ওই চিকিৎসকের। ফোন না পেয়ে কিছুক্ষণ পরই তাঁর খোঁজে থানায় যায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তারপর পুলিশি তদন্তে ওই নির্যাতিতার দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়।

[আরও পড়ুন: গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাজ ঠাকরের দল , ৫ দিনের জন্য বন্ধ ঔরঙ্গজেবের সমাধিসৌধ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement