সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় শেষ হতে চলল ২০২০। এখনও কমছে না করোনার বাড়বাড়ন্ত। চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন। তার মধ্যেই অন্যতম হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) ‘কোভ্যাক্সিন’। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার এক অনুষ্ঠানে এসে একথাই জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা। পাশাপাশি এও জানালেন, দু’টি ডোজের কোভ্যাক্সিন (Covaxin) তৈরির পাশাপাশি একটি ডোজের Nasal Drop’ও তৈরি করবে ভারত বায়োটেক।
চিকিৎসা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এল্লা বলেন, ‘‘আজ যখন আমরা এখানে কথা বলছি, তখন ওদিকে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ তবে দেশের বিপুল জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে দ্রুত প্রত্যেকের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া কী হবে, সেই নিয়ে নিজের চিন্তার কথাও জানালেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি মোটেই খুশি নই। এই ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ। অর্থাৎ আমাদের সেক্ষেত্রে ২৬০টি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করতে হবে।’’ এরপরই তিনি একটি ডোজের Nasal Drop’ও তৈরির কথা জানান। ভারত বায়োটেক আপাতত একটি ডোজের Nasal Drop তৈরির চেষ্টায় রয়েছে, যা তৈরি হলে করোনা রোগীকে দু’টির জায়গায় একবারই দু’টি ড্রপ নিতে হবে ওষুধের।
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিন (Covaxin) সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে তৈরি করোনার টিকা। এই উদ্যোগে ভারত বায়োটককে সাহায্য করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিও। চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশের ২৫টি কেন্দ্রে প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার পরীক্ষা চলবে। তার মধ্যে নতুন করে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও পরীক্ষা শুরু হবে। আগের দুই দফার সঙ্গে এবার অনেক তফাৎ হবে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। সে কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সক্ষমতা এবং গুণমানের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে সন্নিহিত এলাকায় সংক্রমণের ব্যাপকতাও দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.